Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Presidency University

কুড়ি ঘণ্টারও বেশি ঘেরাও ডিন ও রেজিস্ট্রার, উত্তাল প্রেসিডেন্সি

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, জয়েন্ট বোর্ড ফি নির্ধারিত করেছে। বিষয়েটি ছাত্রছাত্রীদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রেসিডেন্সিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।— নিজস্ব চিত্র।

প্রেসিডেন্সিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ১৩:০৩
Share: Save:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন পড়ুয়ারা। মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে এবং স্নাতক স্তরে কাউন্সেলিং ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান, বিক্ষোভ করেছে এসএফআই।

তাদের এই আন্দোলনকে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়ে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। শুক্রবার যৌথভাবে পড়ুয়ারা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন, কন্ট্রোলার এবং রেজিষ্ট্রারকে ঘেরাও করে রেখেছে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ফিন্যান্স অফিসারের ঘরের বাইরে।

যতক্ষণ না স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, ততক্ষণ অবস্থান চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের আরও দাবি, অবিলম্বে কাউন্সেলিং ফি কমাতে হবে। কোনও মতেই পাঁচশো টাকা নেওয়া যাবে না। অনেক গরিব ছাত্রছাত্রী এখানে পড়তে আসেন। তাঁদের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। পরীক্ষায় পাশ করার পর কেনই বা কাউন্সেলিংয়ের জন্য তাঁরা টাকা দিতে যাবেন?

আরও পড়ুন: স্নাতক স্তরে পাঁচ গুণ ফি বৃদ্ধি! বিক্ষোভে সরগরম প্রেসিডেন্সি

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানিয়েছেন, জয়েন্ট বোর্ড ফি নির্ধারিত করেছে। বিষয়েটি ছাত্রছাত্রীদেরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলছে বিক্ষোভ।— নিজস্ব চিত্র।

ফি বৃদ্ধি নিয়ে মন্তব্য করলেও, মেধা তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। এ বিষয়ে নীরব অধ্যক্ষও। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: দেখা করতে কেশরীকে চিঠি সুরঞ্জনের

প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরাও। তাঁদের বক্তব্য, ২০ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও আলোচনার প্রস্তব আসেনি। কে, কত নম্বর পেয়ে ভর্তি হচ্ছেন জানা যাচ্ছে না। মেধা তালিকা প্রকাশ করা হলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। কাউন্সেলিংয়ের জন্য বহু পড়ুয়া আসছেন। তাঁরা টাকাও জমা দিচ্ছেন। কিন্তু সবাই তো আর ভর্তি হতে পারবেন না। যাঁর ভর্তি হতে পারবেন না, তাঁদের থেকে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।

এসএফআই-এর সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’(এআইএসএ) এবং আই সি। তাদেরও একই দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE