প্রতীকী চিত্র।
করোনার প্রকোপের পাশাপাশি গত বছরের মতো ফের সরকারি বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ কমে গেল কলকাতা পুরসভার।
সোমবার ছিল ওয়েভার স্কিমে (সুদ ও জরিমানায় ছাড়) সম্পত্তিকর আদায়ের শেষ দিন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওয়েভারে আদায় হয়েছিল ৫৩০ কোটি টাকা। কিন্তু মার্চের পরে ফের করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় পুরসভায় কর্মীদের হাজিরায় বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, ৩১ মে পর্যন্ত ওয়েভারে আদায় হয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত দু’মাসে ওয়েভারে আদায় হয়েছে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা। অথচ, এখনও বকেয়া সম্পত্তিকরের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা।
গত বছর মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে টানা লকডাউনের জেরে পুর কোষাগারের হাল খুব খারাপ হয়ে পড়ে। পুরসভার আর্থিক সঙ্কট এমন জায়গায় গিয়েছিল যে, কর্মীদের বেতন দিতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল পুরকর্তাদের। সেই আর্থিক সঙ্কট কাটাতেই গত অক্টোবরে ওয়েভার স্কিম চালু করে পুরসভা।
এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওয়েভারে পুরসভা যে ৫৩০ কোটি টাকা আদায় করেছে, তা সর্বকালীন রেকর্ড। গত ডিসেম্বর মাসে করোনা কিছুটা কমতেই লাইসেন্স, বিজ্ঞাপন ও বিনোদন কর বাবদ আদায় ভালই হয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে করোনার প্রকোপ ফের বাড়তে থাকায় ফের সেই সমস্ত কর আদায় কমে গিয়েছে।
যদিও পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বার এপ্রিল ও মে মাসে পিরিয়ডিক ডিমান্ড বিল (পিডিবি) আদায় বেশ বেড়েছে। গত বছর ওই দু’মাসে যা ছিল ৩৫ কোটি টাকা, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ২৭১ কোটি।’’ ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘গত বছর এই সময়ে পুরোপুরি লকডাউন ছিল। এ বার আংশিক লকডাউন থাকায় কর আদায় বেড়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy