Advertisement
E-Paper

এলাকা দখলে চাই, মারমুখী দুই সিন্ডিকেট

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, সিন্ডিকেট-যুদ্ধে প্রান্তিকপল্লির ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তলায় তলায় পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে, খুনোখুনি হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ঘটনার পর থেকে দিনু গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০১:৩৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রান্তিকপল্লি এলাকায় দিনু যাদব ও প্রভাস অধিকারীর দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। মঙ্গলবারও সেখানে দফায় দফায় চলেছে পুলিশি টহলদারি। সোমবারের ঘটনার পরে প্রান্তিকপল্লি এলাকায় কয়েকটি অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ওই সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ঘিরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসারেরা।

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, সিন্ডিকেট-যুদ্ধে প্রান্তিকপল্লির ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তলায় তলায় পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে, খুনোখুনি হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ঘটনার পর থেকে দিনু গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দিন গুলি চালানোর ঘটনার পরে এলাকায় তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এলাকায় পুলিশ পিকেট ও টহলদারিও রয়েছে বলে জানান পুলিশের কর্তারা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুধু প্রান্তিকপল্লি এলাকাই নয়, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমাঠ, অমরাবতী, পি মজুমদার, রুবি পার্ক, যোগেন্দ্র গার্ডেন, রাজডাঙা, চক্রবর্তীপাড়া, ইন্দু পার্ক এলাকাতেও নিত্যদিনই সিন্ডিকেট সংক্রান্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ থেকে ঠিকাদারি— ব্যবসার দখল নিয়েই দুই গোষ্ঠীর যাবতীয় রেষারেষি।

পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বছর পাঁচেক আগে প্রভাস অধিকারী রঙের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত। রাজ্যে প্রশাসনিক পালাবদলের পরে শাসক দলের ছত্রচ্ছায়ায় চলে আসে সে। তার পরে ধীরে ধীরে এলাকায় প্রোমোটারির ব্যবসা শুরু করে দেয় প্রভাস। তার কারবার ভালই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি দিনু প্রভাসের সিন্ডিকেটের কয়েক জনকে নিয়ে ওই এলাকায় নিজেই ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসা শুরু করেছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রান্তিকপল্লি এলাকায় সে সিন্ডিকেটের একটি অফিসও তৈরি করে। ওই অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন এলাকার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষও।

পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, দিনুর দলবল ক্রমশ ওই এলাকায় শিকড় ছড়াচ্ছিল। অন্য দিকে, শাসক দলের অনেক নেতারও দিনুর সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা। সেই কারণেই এলাকায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল প্রভাস। দিনুর প্রভাবে তার সিন্ডিকেট ব্যবসা লাটে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই ওই রাতে দিনুর সিন্ডিকেটের অফিসে গিয়ে হাজির হয়েছিল প্রভাস নিজেই। তার পরেই দিনুর দলবল তার উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

রবিবার রাতে মারধরের ওই ঘটনার পরে সোমবার সকালে প্রভাসের দলবল দিনুর সিন্ডিকেট অফিস ভাঙচুর করে, গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের কথায়, গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছে এখন আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা। যে কোনও সংঘর্ষেই গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও অভিযোগ এলে পুলিশকে জানাই। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’

TMC Syndicate Crime কসবা সিন্ডিকেট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy