লালবাজারের পুলিশ সদর দফতর থেকে বেরতে রাত ১০টা বেজে গিয়েছিল তরুণ মাইতির। শীতের রাত, তার উপর ঝিরঝিরে বৃষ্টি। গিরিশ পার্ক মোড় পেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে একটু এগোতেই তাঁর চোখে পড়ে, এক তরুণ দম্পতি ট্যাক্সি ডাকছেন। অথচ ট্যাক্সিটি সওয়ারি না নিয়ে চলে যায়। তরুণবাবুর বুঝতে ভুল হয়নি। কলকাতার রাস্তায় বৃষ্টির রাতে ট্যাক্সি চালকদের মনমতো সওয়ারি না পেলে ‘যাওয়ার’ অভ্যাস যে কতটা মারাত্মক তা তিনি জানেন। তাই মোটর সাইকেলের গতি একটু বাড়িয়ে সামনের ট্যাক্সির পথ আটকে বাইক নিয়ে দাঁড়ান।
পরনে পুলিশের উর্দি, সঙ্গে পুলিশ লেখা বুলেট মোটরসাইকেল। ট্যাক্সিচালক দাঁড়িয়ে যান। তার পর ওই দম্পতিকে ডেকে তাঁদের ওই ট্যাক্সিতে তুলে দিয়ে চালককে পরিষ্কার বলে দেন যে, মিটারে যে ভাড়া উঠবে, তার থেকে এক পয়সাও যেন অতিরিক্ত না চাওয়া হয়।
সম্পূর্ণ অযাচিত ভাবে পথচলতি এক জন পুলিশ আধিকারিক এগিয়ে এসে তাঁদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে, তারই বর্ণনা দিয়ে কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ধন্যবাদ জানান বরাহনগরের বাসিন্দা সঞ্চয়িতা ঘোষ মণ্ডল। তবে তিনি তাঁর পোস্টে এটাও লেখেন, সব কিছু খুব দ্রুত ঘটে যাওয়ায়, ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম জানার সুযোগ হয়নি। তবে সঞ্চয়িতা ওই পুলিশ আধিকারিকের মোটর সাইকেলের নম্বরটি মনে রেখেছিলেন। পোস্টেও উল্লেখ করেছিলেন নম্বরটি।