বৌবাজারে ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ। — নিজস্ব চিত্র।
বৌবাজারে পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই পদক্ষেপ করল কলকাতা পুরসভা। সংশ্লিষ্ট দুই ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভেঙে পড়া বাড়ির পাশের বাড়িটির মালিককেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়ি ভাঙার কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছে পুরসভা।
মঙ্গলবার সকালে বৌবাজারের রামকানাই অধিকারী লেনের একটি পুরনো বাড়ির দেওয়াল সমেত ঘরের একাংশ আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়ম না মেনে পাশের বাড়ির প্রোমোটিংয়ের জন্যই মূল্য দিতে হয়েছে তাঁদের। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। লাইসেন্স বিল্ডিং সার্ভেয়ার (এলএসবি) এবং এমপ্যানেল স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারকে (ইএসই) শো-কজ় করা হয়েছে। নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা।
এ ছাড়া, পাশের বাড়ির মালিককে নোটিস দিয়ে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত রাখতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মালিককে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সন্তোষজনক চিঠি পেলে তবেই আবার বাড়ি ভেঙে প্রোমোটিংয়ের কাজ শুরু করা যাবে। বাড়ির প্রোমোটিংয়ের জন্য প্রতিবেশীদের কারও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সাধারণ পথচারীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে বলেছে পুরসভা। ভাঙা বাড়ির অংশ জাল দিয়ে ঘিরেও দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ রাতে দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়েছিল ঝুপড়ির উপর। সেই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে আরও এক আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩। ওই ঘটনায় পুরসভা তিন ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় করেছিল। তাঁদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না বলে অভিযোগ। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য পুরসভায় একটি অন্তর্বর্তিকালীন কমিটিও গঠন করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রথমে সাত দিন সময় দেওয়া হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১০ দিন করা হয়। মনে করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy