গোপন সূত্রের ইশারা পেয়ে একটি এসইউভি থামিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। গাড়ির চালক এবং যাত্রীকে নামিয়ে তাঁরা দেখেন, ভিতরে রয়েছে কয়েকটি ব্যাগ। সেই ব্যাগগুলির চেন খুলতেই গোয়েন্দারা দেখেন, থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। একটি-দু’টি নয়, গাড়িতে তল্লাশি করতে বেরিয়ে আসে এমন সাতটি ব্যাগ, যা পাঁচশো টাকার নোটে ভর্তি। এর পরে আরও তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা ওই এসইউভি থেকে উদ্ধার করেছেন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়িতে থাকা দু’জনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে রাজারহাটের নারায়ণপুর থানা এলাকার বারো মাথার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধারের পরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছে আক্রম খান (৩৫) এবং ইমরান খান (৩১) নামে দু’জন। এদের মধ্যে আক্রম ওই গাড়িটির চালক। ধৃতদের বাড়ি বীরভূমে। তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ওই টাকা বীরভূমের এক প্রভাবশালীর কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নিউ টাউনের কোনও জায়গায়। তবে, তার আগেই পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ও তল্লাশি চালিয়ে ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতেরা ওই বিপুল পরিমাণ টাকার কোনও নথি দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সরকারি কৌঁসুলি যদুনাথ ঘোষ বলেন, “একটি এসইউভি করে যাওয়ায় সময়ে নারায়ণপুর থানার বারো মাথার মোড়ের কাছে তাদের থামানো হয়। এসটিএফের সদস্যেরা গাড়িতে তল্লাশির সময়ে পাঁচ কোটি টাকা আটক করেছেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, সামনেই ভোট। তার আগে বেআইনি টাকা লেনদেন করা হচ্ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ওই টাকার সঙ্গে প্রভাবশালী যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। কী কারণে এত টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)