হামলার পরে। তিলজলায়। —নিজস্ব চিত্র।
একটি বাড়ির প্রোমোটিংকে কেন্দ্র করে রনক্ষেত্র হয়ে উঠল তিলজলা। গভীর রাতে চলল পর পর সাত রাউন্ড গুলি। ঘটনায় কেঁপে ওঠে এলাকা। এমনকি ভাঙচুর চালানো হয় স্থানীয় একটি পার্টি অফিসেও। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলার শিবতলা লেনে। গভীর রাতে আচমকা এই হামলায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
পুলিশ জানিয়েছে, জায়গাটি ডিসপেনসারি এলাকা নামেও পরিচিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এমনকী পাশের তিলজলা থানার পুলিশ আধিকারিকরাও ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ৯/১ তিলজলা শিবতলা লেনে প্রায় ৫ কাঠা জমির উপর একটি টালির চালের বাড়ি রয়েছে। ভাড়াটিয়া-সহ বাড়িওয়ালা ছায়া দাস, রেনুকা দাসও পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন ওই বাড়িতে।
আরও পড়ুন: গড়িয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার স্বামী
তাঁদের অভিযোগ, বাড়িটির দখল নিয়ে সেখানে প্রোমোটিং করতে চায় হাফিজ, হায়দার সহ ওই এলাকারই কয়েকজন বাসিন্দা। একইভাবে শেখ খুরশিত নামে অপর এক ব্যক্তিও প্রোমোটিংয়ের জন্য ওই বাড়িটির দখল নিতে চান। ইতিমধ্যে বাড়ির বাইরের দিকে একটি ঘরে নিজের অফিসও খুলে ফেলেছেন এই খুরশিত।
আরও পড়ুন: সিবিআই নিল না, ১৪ দিন জেল হাজতে শ্রীকান্ত মোহতা
এ দিন রাতে দলবল নিয়ে শেখ খুরশিতের অফিসেই এসে হাজির হয় হাফিজ-হায়দাররা। সঙ্গে ছিল বিকাশ, প্রদীপ, রকি নামে কয়েকজন বাসিন্দাও। রাতেই শেখ খুরশিতের অফিসে ভাঙচুর চালায় তারা। ভাঙচুর চলাকালীন পর পর ৭ রাউন্ড গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাড়ির পাশেই একটি দলীয় কার্যালয় ছিল, তাতেও ভাঙচুর চালায় তারা।
ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত বাড়িওয়ালা সহ এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের এখনও খোঁজ মেলেনি। শেখ খুরশিত জানান, আগেও হাফিজ, হায়দার ও তার দলবল হামলা চালিয়েছিল তাঁর অফিসে। তাদের নামে পুলিশে একাধিকবার অভিযোগও জানানো হয়েছে। বাড়িওয়ালা ছায়া দাস বলেন, ‘‘এই বাড়িটি আমাদের। সব কাগজপত্র আমার নামেই রয়েছে। কিন্তু ওরা বলছে এই বাড়িটি নাকি ওদের। কোর্টে কেস চলছে। তারপরেও ঝামেলা করে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy