Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফোঁটায় ভাইয়ের পাতে সাহেবি মিষ্টি

ফোঁটার পরে ভাইয়ের মিষ্টিমুখ হোক বেলিজ পারফে দিয়ে। ক্যালোরি সচেতন ভাইয়েরাও মুখ ফেরাতে পারবে না। প্রতি বারের থেকে এই বছরের ভাইফোঁটা আলাদা করে তুলতে বেছে নেওয়া যায় মিষ্টি-বদলের পথ। ভাইয়েদের চমক দিক বিলিতি অথবা ফিউশন মিষ্টি। শহরের নতুন ফরাসি খাবারের রেস্তোরাঁ থেকে পারফের পাশাপাশি বেছে বেছে তুলে আনা যায় আরও কিছু নজরকাড়া ডেজার্ট।

হরেক পদের বিদেশি মিষ্টি।  —নিজস্ব চিত্র।

হরেক পদের বিদেশি মিষ্টি। —নিজস্ব চিত্র।

সুচন্দ্রা ঘটক
শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

ফোঁটার পরে ভাইয়ের মিষ্টিমুখ হোক বেলিজ পারফে দিয়ে। ক্যালোরি সচেতন ভাইয়েরাও মুখ ফেরাতে পারবে না।

প্রতি বারের থেকে এই বছরের ভাইফোঁটা আলাদা করে তুলতে বেছে নেওয়া যায় মিষ্টি-বদলের পথ। ভাইয়েদের চমক দিক বিলিতি অথবা ফিউশন মিষ্টি।

শহরের নতুন ফরাসি খাবারের রেস্তোরাঁ থেকে পারফের পাশাপাশি বেছে বেছে তুলে আনা যায় আরও কিছু নজরকাড়া ডেজার্ট। লেমন গ্রাস ক্রিম ব্রুলি অথবা আইসক্রিম সহযোগে চকোলেট ফনডু দিয়েও সারা যায় মুখ মিষ্টির পালা। সঙ্গে একটা রিচ চকোলেট টার্ট কিংবা লেমন টার্ট। কোনও ফরাসি শহরে ঘুরতে ঘুরতে চেখে দেখা চকোলেট মাড কেক বা চকোলেট স্লাইসের স্বাদ কি এখনও মুখে লেগে আছে? দক্ষিণ কলকাতার লা মেসঁ ডে ডেলিসের ভাণ্ডার খুঁজে তবে তেমন কিছু বেছে নিলে আরও একটু বিশেষ হয়ে উঠতে পারে বিশেষ দিনটা। ফরাসি স্বাদে ভাইয়েদের মিষ্টিমুখ করাতে ঘুরে আসা যায় ফ্রেঞ্চ লোফ থেকেও। বাটার ট্রাফ্ল, নাটি ক্লাসিক বাইটস, মিল্ক চকোলেট ক্রিসপিস, ক্রেজি চকোনাটের মতো চকোলেটের কিছু বিশেষ পদে নতুনত্ব আনা যায় এ উৎসবের মিষ্টি-ভোজে।

চকোলেট কিনতে গেলেই কি মনে পড়ে যায় বেলজিয়ামের রাস্তার ধারের দোকানে বসে আহ্লাদিত হয়ে চেখে দেখা হাতে গড়া ট্রাফল্স? উৎসবের মেনুতে তেমন কিছুই রাখতে মন চায়? নিজের শহরেও সে ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছে। সৌজন্য তাজ বেঙ্গল। বাড়িতে বানানো হাতে গড়া চকোলেটের সঙ্গে ভাইফোঁটার প্ল্যাটার সাজানো যায় ফ্রুট কেক আর চকোলেট কুকিজ দিয়ে। পাঁচ তারা হোটেলের কনফেকশনারিতে পৌঁছলেই হল।

বেশ কিছু বছর ধরেই বাঙালি মিষ্টির থেকে সাহেবি খাবারের দিকে ঝুঁকছে গ্লোবাল-বাঙালি। আর সে দিকে খেয়াল রেখেই বাঙালি উৎসবের জন্য বিদেশি ডেজার্ট অতি যত্নে তৈরি রাখছে শহরের কনফেকশনারি-কুল। বিশেষ দিনটায় ভাইয়েদের মিষ্টির থালা সাজিয়ে তোলা যায় মামা মিয়া-র নানা রঙের ‘ফ্লাওয়ার কাপ কেক’ দিয়েও। সঙ্গে থাকুক উৎসব-স্পেশ্যাল ট্রাফল কেক, ব্রাউনি, গোল্ড ডাস্টেড হেজল নাট চকোলেট। ডিম ছাড়া ডেজার্টেও সাজানো যায় ভাইফোঁটার মেনু। মুশকিল আসান করবে এলগিন রোডের বাইকার্স কাফে। রকমারি বেরি আর বাদাম দিয়ে সাজানো ডিম-হীন বেরি ক্যামপট ওয়্যাফেল হয়ে উঠতে পারে স্বাদবদলের অন্যতম উপকরণ। মেপেল এবং চকোলেট সিরাপ দিয়ে চকো-চিরস্ প্যান কেকও আধুনিক ভাই-বোনেদের উৎসবে নতুন সংযোজন হয়ে উঠতে পারে।

আর মন যদি না মানে পুরোপুরি সাহেবি হয়ে উঠতে, ভাইয়ের পছন্দের কথা ভেবে ফিউশন-মিষ্টিতেও সাজানো যায় উৎসব-প্ল্যাটার। দক্ষিণ কলকাতার বোহেমিয়ানে শেফের বিশেষ সৃষ্টি মালপোয়া চিজ কেক কিংবা রসগোল্লার মুস। বাঙালি মিষ্টি যতই অপছন্দ হোক ভাইয়ের, এমন নতুনত্বে চমকে যাবে ঠিকই। ঠাকুরমা-দিদিমার না-পসন্দ হতেই পারে, তবু ক্রিসমাস মেজাজের মিষ্টিতেই জমজমাট হোক ভাইফোঁটা!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE