Advertisement
E-Paper

এ বার মা উড়ালপুল থেকে ‘ঝাঁপ’, মৃত্যু যুবকের

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ইএম বাইপাসের পরমা আইল্যান্ডের সামনে ডিউটি করছিলেন তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট। ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৪
মা উড়ালপুলে পড়ে রয়েছে মৃত সাজাব মূর্মূর চটিজোড়া। রবিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

মা উড়ালপুলে পড়ে রয়েছে মৃত সাজাব মূর্মূর চটিজোড়া। রবিবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

মা উড়ালপুল থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম সাজাব মুর্মূ (৩৯)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে। উড়ালপুলের ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পরে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ইএম বাইপাসের পরমা আইল্যান্ডের সামনে ডিউটি করছিলেন তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট। ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ারও। আচমকা উপর থেকে ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে ওই সার্জেন্ট দেখেন, রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মারা গিয়েছেন ওই যুবক।

মৃতের জামার পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র। তা থেকেই জানা যায়, সাজাবের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরে। দুর্ঘটনার পরেই পুলিশ ওই এলাকায় উড়ালপুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করে। তাতে দেখা গিয়েছে, মা উড়ালপুলের গড়িয়ামুখী র‌্যাম্পের উল্টো দিক থেকে এক ব্যক্তি হেঁটে আসছেন। কিছুটা দূরে গিয়ে উড়ালপুলের মাঝে উঁচু একটি জায়গা থেকে তিনি ঝাঁপ দেন।

সাজাবের পকেট থেকে পাওয়া ভোটার পরিচয়পত্রের খামের উপরে একটি মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। সেখানে ফোন করে জানা যায়, সেটি ওই যুবকের শ্যালকের নম্বর। তাঁর বাড়ি অবশ্য উত্তর দিনাজপুরে। ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, কলকাতায় নয়, তাঁর জামাইবাবু গ্রামের কয়েক জনের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতে কাজে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। ফলে সাজাব কী ভাবে কলকাতায় এলেন, কেনই বা তিনি উড়ালপুলে উঠে ঝাঁপ দিলেন— সেই রহস্য রাত পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি।

এই নিয়ে মা উড়ালপুল থেকে দ্বিতীয় বার ঝাঁপ মারার ঘটনা ঘটল। বছরখানেক আগে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল মিলন মেলা প্রাঙ্গণের পাশ থেকে। সে সময়ে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জেনেছিল, ওই যুবকও মা উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। এ দিকে, মা উড়ালপুলে পরপর এমন দুই ঘটনায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পুলিশের। এত দিন ওই উড়ালপুলের উপরে চিনা মাঞ্জায় ঘটছিল একের পর এক মোটরবাইক দুর্ঘটনা। ছিল হেলমেট ছাড়া বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর সমস্যাও। এ বার পুলিশের চিন্তা বাড়াল তার সঙ্গে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনাও।

Death Suicide Youth Maa Flyover
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy