Advertisement
E-Paper

রাস্তা বেহাল রানিয়ায়

বর্ষায় প্রায় চার মাস রানিয়া এলাকার রাস্তা জলে ডুবে থাকে। আর সেই কারণেই বছরের অন্যান্য সময় অটো রাস্তায় চলে নৌকার মতো দুলে দুলে। রানিয়া এলাকায় সমস্ত রাস্তাই দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। যদিও কাউন্সিলর এবং বিধায়কের যুক্তি হচ্ছে নিয়মিত রাস্তা সারাই হয়। বর্ষার জলে তা নষ্ট হয়ে যায়।

দেবাশিস দাস

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৪ ০৪:৪৮
এ পথেই নিত্য যাতায়াত। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

এ পথেই নিত্য যাতায়াত। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

বর্ষায় প্রায় চার মাস রানিয়া এলাকার রাস্তা জলে ডুবে থাকে। আর সেই কারণেই বছরের অন্যান্য সময় অটো রাস্তায় চলে নৌকার মতো দুলে দুলে। রানিয়া এলাকায় সমস্ত রাস্তাই দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। যদিও কাউন্সিলর এবং বিধায়কের যুক্তি হচ্ছে নিয়মিত রাস্তা সারাই হয়। বর্ষার জলে তা নষ্ট হয়ে যায়।

তবে রানিয়ার বাসিন্দারা মনে করতে পারছেন না শেষ কবে রাস্তা সারাইয়ের কাজ হয়েছে। বাসিন্দা রীতা পোদ্দার বললেন “আজ প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাস্তার এই হাল। মাঝেমধ্যে এলাকার ছেলেরা রাবিশ ফেলে রাস্তাগুলিকে চলার যোগ্য করে। কয়েক মাসের মধ্যেই তা বেহাল হয়ে পড়ে।”

রানিয়া এলাকাটি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। পাশেই কলকাতা পুরসভার ১১২ নম্বর ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তায় প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকায় এখনও অনেক জায়গায় মাটির রাস্তা রয়েছে যেখানে কোনও দিন পিচ পড়েনি। পুরসভা-সহ বিভিন্ন মহল থেকে রাস্তা সারাইয়ের অনেক বার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে বাসিন্দারা দাবি করেন। অভিযোগ, আজ পর্যন্ত কেউ সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি।

কাউন্সিলর সিপিএমের বিজলি দাস বলেন, “দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য এলাকার রাস্তা কার্যত চার মাস জলের তলায় থাকে। এই এলাকায় কংক্রিটের রাস্তার প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের অত টাকা নেই যে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করব। যখন যেমন টাকা আসে সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়।”

রানিয়া এলাকায় কোথাও আবার রাস্তা জুড়ে গর্ত। কোথাও বা রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে এসেছে। রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ইটপাটকেল। কোথাও আবার রাস্তার গর্তে জমে রয়েছে নোংরা জল। এই এলাকায় যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে অটো, রিকশা আর ভ্যান। বাসিন্দাদের একাংশ নির্ভরশীল সাইকেল আর মোটর সাইকেলের উপরে।

অটোচালক এবং বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তার এই হালের জন্য দু’দিন অন্তর টায়ার সারাতে হয়। এই ভাবে যাতায়াতের জন্য এলাকার বাসিন্দারা দায়ী করেন জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতাকে। তাঁদের বক্তব্য: রানিয়া এলাকার কয়েক হাজার মানুষের রাস্তা এবং নিকাশি

নিয়ে দুর্ভোগের কথা এলাকার জনপ্রতিনধিদের প্রত্যেকের জানা। তাও এই দুর্দশা ঘোচাতে কেউ কোনও ব্যবস্থা নেন না।

সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের পরিষদীয় সচিব ফিরদৌসি বেগম বলেন, “ওই এলাকার রাস্তা এবং নিকাশির সমস্যা অনেক দিনের। সমস্যার সুরাহার চেষ্টা চলছে।”

rania debasish das
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy