বছর কুড়ি আগে বাঘাযতীন স্টেশন রোডের একাংশের সংস্কার হয়েছিল। বাকি অংশের কোনও সংস্কার হয়নি। এখন পুরো রাস্তারই বিপজ্জনক অবস্থা। বর্ষার সময়ে রাস্তটি রীতিমতো মারণফাঁদ হয়ে ওঠে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিভিন্ন মহলে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের দাবি।
বাঘাযতীন স্টেশন রোড কলকাতা পুরসভার ১০১ এবং ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের রাস্তা। এই পথ রাজা এসসি মল্লিক রোডের সঙ্গে সরাসরি ইএম বাইপাসের যোগাযোগ রক্ষা করছে। ফলে এই রাস্তার উপরে দক্ষিণ শহরতলির বাঘাযতীন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত নির্ভর করে।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রমেন বল বলেন, “বাঘাযতীন মোড় থেকে প্রান্তপল্লি স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটি বহু আগে সংস্কার হয়েছিল। এই অংশের রাস্তা অনেকটাই চওড়া। কিন্তু প্রান্তপল্লি স্কুলের থেকে স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি।”
প্রান্তপল্লি স্কুলের পর থেকে বাঘাযতীন স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি এতই সঙ্কীর্ণ যে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি যেতে পারে না। এই রাস্তায়ও দখলদারির সমস্যা রয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। রাস্তাটির এই অংশটি খন্দে ভরা। এলাকার দুই কাউন্সিলরই জানান, ধাপা জলপ্রকল্পের পাইপ পাতার জন্য রাস্তার কিছু অংশ খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছিল। তাই কিছু অংশে গর্ত রয়েছে। কাজ শেষ হলেই এই সব গর্ত বুজিয়ে দেওয়া হবে।
১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের রিঙ্কু নস্কর বলেন, “আমরা ক্ষমতায় নেই। তাই নানা কাজকর্মে অসুবিধে হচ্ছে। রাস্তাটির যতটুকু সংস্কার হয়েছিল তা আমাদের সময়েই হয়েছিল।” তবে রাস্তা সংস্কার, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমস্যাও রয়েছে বলে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের গৌতম সরকারের অভিযোগ। তিনি বলেন, “জলপ্রকল্পের কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি হওয়ায় রাস্তার হাল বেশি খারাপ হয়েছে। তবে রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পুর-তহবিল থেকে ঠিকমতো অর্থ মেলে না।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। যদিও বাসিন্দারা জানান, এই রকম প্রতিশ্রুতি অনেক বার শোনা গিয়েছে কাজের কাজ কিছু হয়নি। পুরসভার মেয়র পারিষদ (সড়ক) তৃণমূলের সুশান্ত ঘোষ বলেন, “টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। এই আর্থিক বছরের মধ্যেই ওই রাস্তার কাজ শেষ হবে।”