Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৩
Koustav Bagchi

বিতর্ক শেষ হোক, কৌস্তুভের মামলায় সমাধান খুঁজতে আইনজীবীদের পরামর্শ বিচারপতি মান্থার

কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর বাড়িতে সিআরপিএফ মোতায়েন করা সম্ভব নয় বলে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে জানাল কেন্দ্র। এই মামলায় রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

photo of Koustav Bagchi and Justice Rajasekhar Mantha .

কৌস্তুভ বাগচীকে নিয়ে ‘দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার’ বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫১
Share: Save:

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীকে নিয়ে ‘দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার’ বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৌস্তুভ। সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি মান্থা।

কৌস্তুভের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার কেন্দ্রের তরফে হাই কোর্টে জানানো হয় যে, কংগ্রেস নেতার বাড়িতে সিআরপিএফ মোতায়েনে সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় যে, সিআরপিএফের অফিস থেকে কৌস্তুভের বাড়ির দূরত্ব বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ মতো এই মামলায় রিপোর্ট জমা দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘‘কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী এবং মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার।’’ একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, ‘‘এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র বার করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।’’

গত ৩ মার্চ রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ৪ মার্চ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ‘বিনা কারণে’ কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শনিবারই বিকেলে জামিনে মুক্তি পান কৌস্তুভ। এর পরই পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন অধীরের কন্যার আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে তিনি ‘অনেক কথা’ জানেন। তিনি ‘মুখ খুললে’ বিপদ হবে! এর পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর পরই কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE