আহত কাঞ্চন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। বুধবার রাতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করল দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম কাঞ্চন চক্রবর্তীর দাবি, বুথফেরত সমীক্ষায় ফের এনডিএ ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত পেয়েই তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। যদিও বিজেপির দাবি, গত চার বছরে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কাঞ্চন। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই জনরোষের শিকার। এই চাপানউতোরেই ভোটগণনার আগের দিন উত্তপ্ত মেদিনীপুরের রাজনৈতিক বাতাবরণ।
শালবনির ভাদুতলায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই বিশাল বাড়ি কাঞ্চনের। তিনি তণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ওই বাড়িতে চড়াও হয় বেশ কিছু লোকজন। তাঁরা কাঞ্চনের বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। একই সঙ্গে চলে কাঞ্চনকে মারধর। দীর্ঘক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পর হামলাকারীরা বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই কাঞ্চনকে শালবনি হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর মাথায় চোট রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে বুধবার কাঞ্চন বলেন, ‘‘আচমকা এক দল লোক ঢুকে পড়ে বাড়িতে। গোটা বাড়ি লন্ডভন্ড করতে শুরু করে। আমাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলা হয়। কিন্তু আমি না বলায় আমাকে মারধর শুরু করে। তার পর এক সময় তারা পালিয়ে যায়।’’
আরও পড়ুন: ৭ দিন গ্রেফতার করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি অর্জুন সিংহর
আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, গণনায় আগে ভিভিপ্যাট মেলানোর দাবি খারিজ করল কমিশন
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও হামলার ঘটনায় বিজেপির কর্মীরাই জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন। এলাকাকর যুব তৃণমূল নেতা সন্দীপ সিংহ বলেন, ‘‘বুথফেরত সমীক্ষার ফলে উৎসাহী হয়েই বিজেপি কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।’’ যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ঘটনায় বিজেপির যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্রজিৎ রায়ের বক্তব্য, ‘‘ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তাই জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসী যে কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ, তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে তাঁদের কথাবার্তাতেও। তাঁদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় প্রোমোটারি দুর্নীতি করে কার্যত আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে কাঞ্চনের। গত কয়েক বছরে বিশাল বাড়ি হাঁকিয়েছেন। কিনে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি লরি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy