সঙ্গীত মেলা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
রাজনীতি আর প্রশাসনিক দায়দায়িত্বের ঘোরাটোপ থেকে কিছুটা মুক্ত হয়ে সংস্কৃতির আঙিনায় পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীতমেলা ও বিশ্ব বাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসবে তিনি নিজেকে মিশিয়ে দিলেন সঙ্গীতের সুরে। বুধবার সঙ্গীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র এবং অন্যদের সঙ্গে ঢাকের তালে তালে তাঁকে পা মেলাতেও দেখা গেল মঞ্চে।
উৎসবের মরসুম শেষ হোক গানে গানে। মাটির সুর ছড়িয়ে পড়ুক বাংলা ও বাঙালির মননে। এই ভাবনা নিয়েই প্রতি বছরের মতো এ বছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সঙ্গীত মেলা এবং বিশ্ব বাংলা লোকসংস্কৃতি উৎসব। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা। আলিপুরের উত্তীর্ণ মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এ বার। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন এক ঝাঁক শিল্পী। এই মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “সম্প্রীতি যদি কোথাও থাকে, সেটা হল সঙ্গীত। সঙ্গীতের কোনও সীমানা নেই। কোনও ভেদাভেদ নেই।” সৌমিত্রকে স্মরণ করে ‘ও আকাশ সোনা সোনা’ গানটা গাওয়া হয়েছে এই মঞ্চে। সেই গানের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “ও আকাশ সোনা সোনা এই গানটা আমার প্রিয়। কিন্তু সোনার রত্নকে আমার হারিয়ে ফেলেছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গান দিয়েই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তার পর প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে আরও একটি গান গেয়েছেন শিল্পীরা। এই মঞ্চ থেকেই পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিজস্ব ভবন ‘আসন্ন’ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর প্রদীপ জ্বালিয়ে সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এই মঞ্চ থেকেই বিশিষ্ট শিল্পীদের সঙ্গীত সম্মান এবং সঙ্গীত মহাসম্মান পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মমতা আরও জানান, ৬৩০টি মেলা করা হবে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy