এনজেপি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস নিয়ে দু’দিন থেকে নানা গোলমাল সামনে আসছে। ফের যাত্রীদের হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ উঠল গুরুত্বপূর্ণ ওই ট্রেনটিতে। চার্ট তৈরির গোলমালে বৃহস্পতিবার কামরা এবং প্রয়োজনীয় আসন থাকা সত্ত্বেও অনেক যাত্রী মালদহ পর্যন্ত আসন পাননি বলে অভিযোগ। এনজেপি থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় থেকেই মালদহ পর্যন্ত ব্যাপক গোলমাল হয় বলে রেল সূত্রে খবর। পরে রেলকর্তাদের হস্তক্ষেপে যাত্রীদের আসনের ব্যবস্থা করা হয়। রেলের কর্তারা জানান, বিষয়টি পরে সঠিক পদক্ষেপ করে মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে।
হাওড়া-এনজেপি শতাব্দীতে মঙ্গলবার রাতে তিন টিটিই মদ খাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন এক যাত্রী। তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ দিন সকালে এনজেপি থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে যাত্রীরা দেখেন একটি কামরার নম্বর দিয়ে দু’টি পৃথক চার্ট বার হয়েছে। ফলে ওই কামরায় প্রতি আসনের দু’জন করে দাবিদার হয়ে যান। এটা কেন হল? উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘চার্টে সি২ কামরার তালিকাও সি১ কামরার নামেই বের হয়েছিল। টিটিই-রা বুঝতে পেরে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’ যদিও, ততক্ষণে যাত্রীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। রেলে কর্তব্যরত এক টিটিই জানান, যে সব যাত্রী আগে আসতে পেরেছিলেন, তাঁরা আসন আঁকড়ে থাকেন। পরে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়।
রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসে ৯টি চেয়ারকার এবং ১টি এগজ়িকিউটিভকামরা থাকে। তা ছাড়াও, আরও একটি করে চেয়ারকার এবং এগজ়িকিউটিভ কামরা জোড়া হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। বাড়তি দ্বিতীয় চেয়ারকারটি রোজ নির্দেশ হলে তবে জোড়া হয়। এনজেপি থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ট্রেনটি ছাড়ে। কিন্তু চার্ট তৈরি হয় আগের রাতেই। তা তৈরি করার সময়ে বুধবার রাতে এনজেপি-র কমার্শিয়াল বিভাগেরকর্মীরা বাড়তি কামরার বিষয়টি ভালভাবে নজর করতে পারেননি বলেই রেল সূত্রে দাবি। তার জেরেই যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy