Advertisement
০৭ মে ২০২৪
jalpaiguri

Maternal Uncle killed: পারিবারিক বিবাদের জের, লোহার রড দিয়ে মামাকে পিটিয়ে খুন ভাগ্নের, চাঞ্চল্য

পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা রাউত বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরে মারামারিতে এক জন মারা গিয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। অভিযুক্তের মানসিক সমস্যা ছিল।’’

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২২ ১২:১২
Share: Save:

ভাগ্নের হাতে খুন হলেন মামা। ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনি এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। গুরুতর আহত মামিমা ও ভাগ্নেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাতকাটা কলোনির বাসিন্দা অজিতকুমার সরকারের বাড়িতে আসেন ধূপগুড়ি দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাম। অজিত ও প্রসেনজিৎ সম্পর্কে মামা ভাগ্নে। দু’চার কথার পর বাড়িতেই শুরু হয় বিবাদ। বিবাদ গড়ায় মারামারিতে। অভিযোগ, লোহার রড নিয়ে ভাগ্নে প্রসেনজিৎ মামা অজিতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রসেনজিতের হাতে মারধর খান আলো সরকারও।

চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পাড়ার লোকজন। বেগতিক দেখে প্রসেনজিৎ পালাতে গেলে তাঁকে ধরে ফেলেন পড়শিরা। দেওয়া হয় গণধোলাই। এ দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অজিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম প্রসেনজিৎকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মামিমা আলো শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা রাউত বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরে মারামারিতে এক জন মারা গিয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। আমিই পুলিশকে খবর দিই। অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। অভিযুক্তের মানসিক ভারসাম্য ছিল না বলে মনে হচ্ছে।’’ জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

প্রসেনজিতের হাতে মামা অজিত খুন হয়েছেন, ধূপগুড়িতে এই খবর পৌঁছতেই রীতিমত চাঞ্চল্য শুরু হয়। পরিচিতরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই প্রসেনজিতের আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করছিলেন তাঁরা। তার পরিণতি যে এই হবে, ভাবতেও পারেননি কেউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jalpaiguri family members Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE