গত ২৬ মে গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়। বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরে গ্রেফতার হওয়া ১১ কুড়মি নেতার জামিন মঞ্জুর করল আদালত। যদিও আপাতত অনুপ মাহাতো ছাড়া অন্যদের জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে। বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে অন্যান্য থানায় মামলা আছে। রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো-সহ গ্রেফতার হওয়া মোট ১০ কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারীর নামে একাধিক থানায় মামলা থাকায় তাঁরা জেলে হেফাজতে থাকছেন।
গত মে মাসের ২৬ তারিখ নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেকের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং মন্ত্রী বিরবাহার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলার রুজু করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ওই দিন রাতেই পুলিশ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। তার পর দিন ওড়িশা সীমান্ত এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো-সহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। ঘটনার তদন্তে নেমে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে তারা। মোট গ্রেফতার হন ১১ জন। ধৃত কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সোমবার ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালত রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো, অনুপ মাহাতো-সহ মোট ১১ জন কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারীর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিজয়লক্ষ্মী মাহাতো বলেন, ‘‘পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় বিচারক ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে অনুপ মাহাতো ছাড়া বাকিরা অন্যান্য মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না।’’ সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় বলেন, ‘‘আদালত একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy