এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে। ক’দিন ধরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা চলছিলই। মঙ্গলবার দুপুর থেকে আচমকা দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় দু’পক্ষেরই আটজন জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। বুধবারেও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতির সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এলাকা কার দখলে থাকবে-মূলত এ নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ক’দিন ধরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আহাসানউল্লা মণ্ডল সঙ্গে দলেরই ভগবন্তপুর-১ অঞ্চল সভাপতি রাকেশ সরকারে মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। আহাসানউল্লা মণ্ডল দলের চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের সহ-সভাপতি হীরালাল ঘোষের অনুগামী। অন্য দিকে, রাকেশ সরকার দলের ওই ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর অনুগামী।
দলীয় সূত্রের খবর, আহাসান মণ্ডল দলের পুরনো কর্মী এবং এলাকার প্রাক্তন অঞ্চল নেতা। স্থানীয় বাসিন্দা এবং দলেরই নিচু তলার কর্মীদের অভিযোগ, দলীয় নির্দেশকে উপেক্ষা করে দু’পক্ষ এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল-বৈঠক করে। দলীয় কর্মী-সমর্থকের সাফ বক্তব্য, “উন্নয়নের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। সরকারি নানা অনুদানও উপভোক্তারা পাচ্ছেন না।’’
দলীয় কর্মীদের আরও অভিযোগ, “দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নাম করে নিজেদের আখের গোছালে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ, এখানে দলের নাম ভাঙিয়ে দু’পক্ষই বালি চুরি থেকে মোরাম-বোল্ডার পাচারে মদত দিচ্ছে।’’
সমস্যার কথা স্বীকার করে ব্লকের কাযর্করী সভাপতি প্রদীপ সাঁতরা বলেন, ‘‘বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বলেন, “ব্লক নেতৃত্বদের দলবিরোধী কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। প্রমাণ হলে সবাইকেই দল থেকে বহিষ্কার করে দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy