Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ভক্তের মানতেই ভীমের গলায় লক্ষ টাকার মালা

বুধবার ভীম একাদশী উপলক্ষে ভীমের পুজো শুরু হয়েছে।

ভীমপুজো। তমলুকের কুলবেড়িয়ায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

ভীমপুজো। তমলুকের কুলবেড়িয়ায়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:২৭
Share: Save:

প্রায় ২০ ফুট উঁচু বিশালকায় মূর্তি। গলায় ঝুলছে লক্ষাধিক টাকার মালা। মন্দির প্রাঙ্গণে জমজমাট মেলায় উপচে পড়ছে ভিড়। ভীম পুজো ঘিরে এ ভাবেই উৎসবে মেতে উঠেছে তমলুকের কুলবেড়িয়া ও নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাটের তারাগেড়্যা গ্রাম।

বুধবার ভীম একাদশী উপলক্ষে ভীমের পুজো শুরু হয়েছে। তমলুকের কুলবেড়িয়া হাইস্কুল প্রাঙ্গণে ভীমপুজো এ বার ১২৪ বছরে পড়েছে। পাকা মন্দিরে মাটির তৈরি বিশাল ভীমের পুজো ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও ভক্তরা ভিড় করেন। ভক্তদের দেওয়া ছোট আকারের ভীমের শতাধিক মূর্তি রাখা হয় মন্দিরে। লক্ষাধিক টাকার মালা পরানো হয় ভীমের গলায়। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কুলবেড়িয়া গ্রামে ভীমের গলায় এ বার পরানো হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার নোটের মালা। আঞ্চলিক ইতিহাসের গবেষকদের মতে, এই মালা মানত পূরণে দেওয়া হয়। ভক্তরা ভাল ফসল, সন্তান কামনা-সহ নানা মনোবাঞ্ছায় মানত করেন। পূরণ হলে টাকার মালা দেন। অনেক সময়ে বাতাসার মালাও দেওয়া হয়।

মেলা উপলক্ষে এদিন বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা স্থানীয় বাজার এলাকা পরিক্রমা করে। মেদিনীপুর শহর থেকে ভীমপুজোর মেলায় এসেছিলেন দীপালি ভঞ্জ। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকদিন ধরেই এখানে পুজো দিতে আসছি। সকালে পুজো দেওয়ার পর মেলা দেখেই বিকেলে বাড়ি ফিরে যাব।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আসা প্রৌঢ় হৃষিকেশ সিংহ বলেন, ‘‘এখানে ভীমের পুজোর কথা দীর্ঘদিন ধরে শুনেছি। এই প্রথম এলাম। খুব ভাল লেগেছে।’’

কুলবেড়িয়া ভীম মেলা কমিটির সভাপতি কালীপদ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে ভীমের মূর্তি গড়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ভীমপুজো উপলক্ষে মেলার আয়োজনও করা হয়েছে। যাত্রার পাশাপাশি টলিউডের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হয়েছে।’’ নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাটের কাছে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক সংলগ্ন তারাগেড়িয়া গ্রামেও ভীমপুজো ঘিরে মেলা শুরু হয়েছে বুধবার। এদিন সকাল থেকেই ভীম মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় জমে কয়েক হাজার ভক্তের। এখানেও প্রায় ২০ ফুট উঁচু ভীমের গলায় লক্ষাধিক টাকার মালা পরানো।

ভীমমেলা কমিটির সম্পাদক রণজিৎ ঘড়া বলেন, ‘‘আনুমানিক ৩০০ বছরের প্রাচীন এই ভীম পুজো। পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে। মেলা দেখতেও প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসেন। যাত্রা, কীর্তন ছাড়াও বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে এ বার। বারো দিন ধরে মেলা চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE