E-Paper

মৃৎশিল্পীর ঘরে প্রতিমা ভাঙচুর, প্রতিবাদে অবরোধ

গণপতিনগর গ্রামের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, হলদিয়া-মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটিঘরে দীর্ঘদিন ঠাকুর গড়েন অনিল ও তাঁর স্ত্রী কবিতা। লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমাই বেশি বিক্রি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:১৬

—প্রতীকী চিত্র।

রাতের অন্ধকারে একাধিক প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। শুক্রবার গভীর রাতে গণপতিনগর গ্রামে মৃৎশিল্পী অনিল চাকড়ার কারখানায় হামলা চালিয়ে দুষ্কৃতীরা ৫০-৬০টি লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। অনিল পুলিশে অভিযোগ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ নিজের জেলায় এমন ঘটনারপ্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অবরোধ-বিক্ষোভও হয়েছে।

গণপতিনগর গ্রামের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, হলদিয়া-মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটিঘরে দীর্ঘদিন ঠাকুর গড়েন অনিল ও তাঁর স্ত্রী কবিতা। লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমাই বেশি বিক্রি হয়। ফলে, কারখানায় বেশ কিছু প্রতিমা ছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই দম্পতির অবর্তমানে অধিকাংশ প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে অনিল বলেন, ‘‘সারা বছরের রোজগার এ সময়ে করি। সব গেল!’’

শনিবার সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই পথে নামেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। গেরুয়া সংগঠনের পতাকা হাতে, ভাঙা প্রতিমা নিয়ে জেলাশাসকের অফিসের কাছে নিমতৌড়িতে জাতীয় সড়কে অবরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরায়।

সমাজমাধ্যমে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করার জন্য এই সব দেখেও চোখ বুজে রয়েছে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ‘‘দল এমন কাজ সমর্থন করে না। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যেন দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা হয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Vandalism Tamluk

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy