E-Paper

চাকরি বিক্রির ‘দালাল’ অতনু এখনও নাগালের বাইরে

২০২২ সাল নাগাদ পুলিশের কাছে নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলার অভিযোগ জমা পড়েছিল অতনুর বিরুদ্ধে।

সৌম্য প্রামাণিক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির ‘বেতাজ বাদশাহ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন জেলার কোলাঘাট ব্লকের অতনু গুছাইত। তাঁকে বিপুল টাকা দিয়ে বহু ‘অযোগ্য’ প্রার্থী ২০১৬ তে এসএসসি দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই চাকরি হারানোর পর সেই অতনুকেই এখন খুঁজে বেড়াচ্ছেন অনেকে। কিন্তু পুলিশ থেকে শুরু করে চাকরিহারা শিক্ষক— কারও নাগালে আসছেন না অতনু।

২০২২ সাল নাগাদ পুলিশের কাছে নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলার অভিযোগ জমা পড়েছিল অতনুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রায় ছয় থেকে আট কোটি টাকা শুধুমাত্র প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রমাণ দেখিয়ে অতনু তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। অভিযোগ অতনুর মাধ্যমে প্রাথমিক, নবম দশম সহ একাধিক বিভাগে চাকরি ও পেয়েছিলেন কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার একাধিক শিক্ষক। চাকরি চলে যাওয়ার পর বেশ কিছু শিক্ষক অতনুর খোঁজে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি পলাতক। দীর্ঘ পাঁচ বছর বাড়ি ফেরেননি তিনি। কোলাঘাট থানার এক আধিকারিক জানান, অতনুপ খোঁজে ‘লুক আউট’ নোটিশ জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট বাজারের কোলা ইউনিয়ন স্কুলের খুব কাছেই প্রাসাদের মতো বাড়ি অতনুর। আপাতত সেই বাড়ি তালা দেওয়া। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের পর আবার কোলাঘাটের অতনু গুছাইতেরের বিষয়ে চর্চা শুরু হয়েছে হয়েছে।

আবার উল্টোদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছিলেন পাঁশকুড়ার পাতনদা গ্রামের বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। যদিও তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন বর্তমানে। তাপসই প্রথম কুন্তল ঘোষের নাম তুলে এনেছিল সিবিআই এর কাছে। অভিযোগ উঠেছিল, ৩২৫ জনের থেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

SSC Kolaghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy