—নিজস্ব চিত্র।
নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করলেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ঝাড়গ্রামের এক ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা মতো তার চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বীরবাহা। বৃহস্পতিবার নিজের উদ্যোগেই ওই কিশোরকে ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করালেন তিনি।
লালগড়ের সিজুয়া গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছরের সুশান্ত বেজের ক্যানসার ধরা পড়ে চলতি বছরের গোড়ায়। সুশান্তের এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তার বাবা রঞ্জিৎ বেজ পেশায় চাষি। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরে রঞ্জিতের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। রঞ্জিতের কথায়, “ছেলের ডান হাঁটুতে ব্যথা হত। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরে মেদিনীপুরে চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। পরে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হলেও অর্থের অভাবে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।” রঞ্জিৎ জানিয়েছেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য বিষয়টি ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুণাল হেমব্রমকে জানালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর দফতরে আবেদন করেন। এরই মাঝে সুশান্তের অসুস্থতার খবর এবং আর্থিক সমস্যার কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বীরবাহা। ওই কিশোরের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে লালগড়ের সিজুয়া থেকে ওই কিশোরকে গাড়িতে করে ঝাড়গ্রামে আনা হয়। তার পর অসুস্থ কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বীরবাহা। তিনি বলেন, “আমরা যে তার পাশে দাঁড়িয়েছি, তা কিশোরটি জানতে পেরেছে। চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিশোরটি ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতাধীন কি না, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ আমি বহন করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy