নিজস্ব চিত্র।
আলো লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল নাবালক এক শ্রমিকের। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ওই ঘটনায় ওই ডেকরেটর সংস্থার মালিক জগন্নাথ সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, জগন্নাথ এলাকার বিজেপি নেতা। দলের পিংলা পশ্চিমের মণ্ডল সভাপতি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শিশু শ্রম আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, জগন্নাথের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নারায়ণগড়ে ডেকরেটরের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর চোদ্দোর শিবশঙ্কর সিংহের। লাইট-মাইকের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। ওই ঘটনার পর পুলিশকে না জানিয়ে দেহ নিয়ে গ্রামে চলে আসেন জগন্নাথ। এতেই সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। বিজেপি নেতাকে আটকেও রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরিবার ও পড়শিদের প্রশ্ন, কেন ময়নাতদন্ত না করেই দেহ নিয়ে চলে আসা হল? কেনই বা ছেলের মৃত্যুর কথা পরিবারকে জানানো হল না? পরে মণ্ডল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করেও দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। পিংলা থানায় অভিযোগও দায়ের করে মৃতের পরিবার। তার ভিত্তিতেই জগন্নাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, শিবশঙ্করের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে জগন্নাথকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে ওঁকে।’’
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়। নাবালককে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy