E-Paper

ধর্ষণে ধৃতের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বাড়ছে শোরগোল

এক সময় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স চালাত ওই যুবক। ২০১০ সালে তার দাদা তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি হন। পদে ছিলেন ২০১৩ পর্যন্ত। সূত্রের খবর, তৃণমূল আমলে এলাকায় যখন বড় হাসপাতাল হয়, তখন দাদার প্রভাবে ঠিকাদারদের সঙ্গে যুক্ত হয় ধৃত যুবক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:০১

— প্রতীকী চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণে ধৃত বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজারের সঙ্গে তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের ছেলে বোধিসত্ত্বের ঘনিষ্ঠতার দাবি ঘিরে শোরগোল বাড়ছে। যদিও বোধিসত্ত্ব সে দাবি মানেননি। দলের সঙ্গে ধৃতের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূলও। বুধবার দুপুরে তদন্তকারীরা ‘সিসিটিভি ফুটেজ’, বেসরকারি সংস্থাটির ‘ডিউটি রস্টার’ ও নবনিযুক্ত কর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করেন। যে স্টোররুমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তা ‘সিল’ করা হয়।

এক সময় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যান্স চালাত ওই যুবক। ২০১০ সালে তার দাদা তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি হন। পদে ছিলেন ২০১৩ পর্যন্ত। সূত্রের খবর, তৃণমূল আমলে এলাকায় যখন বড় হাসপাতাল হয়, তখন দাদার প্রভাবে ঠিকাদারদের সঙ্গে যুক্ত হয় ধৃত যুবক। আটটি গাড়ি কিনে ব্যবসা শুরু করে। মাতৃযান-সহ সরকারি দুই হাসপাতালের নানা পরিষেবায় সে সব গাড়ি চলত। তবে অভিযুক্তের দাদার বক্তব্য , ‘‘ভাই কঠোর পরিশ্রমেই হাসপাতালে ভাল জায়গা পেয়েছিল।’’ তৃণমূলের তমলুক জেলা সভাপতি সুজিত রায় এ দিনও ধৃতের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন।

‘অভয়া মঞ্চ’-এর তরফে পবিত্র গোস্বামীর দাবি, এই হাসপাতালের প্রাক্তন জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বোধিসত্ত্ব মহাপাত্রের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিল ধৃত। বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, ‘‘বড় মাথা না থাকলে, ধর্ষকেরা বাড়তে পারে না। তবে যার মাথায় দিদির হাত, সে খাবে জেলের ভাত।’’ বোধিসত্ত্বের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ কথা ধৃতও অনেককে বলেছিল বলে দাবি। সমাজমাধ্যমেও তা ছড়িয়েছে। যদিও বোধিসত্ত্ব বলেন, ‘‘আমাকে ও আমার পরিবারকে ছোট করতে এ সব ছড়ানো হচ্ছে। অভিযুক্ত হাসপাতালের গাড়ি দিত। কখনও খাবার এনে দিত। সে সূত্রে পরিচয়। ঘনিষ্ঠতা ছিল না।’’

মঙ্গলবার রাতে ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেন আগে তা করা হল না, প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। সুপারের বক্তব্য, ‘‘নির্যাতিতাদের অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছে ওই যুবক। তাই পুলিশের তরফে আর অভিযোগের প্রয়োজন নেই জানানো হয়। তবু ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছিল, হাসপাতালের তরফে অভিযোগকরা উচিত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sexual Harassment midnapore TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy