‘রেড’ থেকে ‘অরেঞ্জ জোনে’ যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের। জেলার করোনা হাসপাতাল মঙ্গলবার হয়েছে রোগীশূন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র প্রতিনিধিও ওই হাসাপাতালের পরিকাঠামোয় সন্তুষ্ট। সামগ্রিকভাবে জেলার করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভাল বলে জানাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের করোনা আক্রান্ত পান ব্যবসায়ী এবং গ্রামীণ চিকিৎসকের পরিবারের যে সব সদস্য পাঁশকুড়া করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। এদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে করোনা উপসর্গ থাকা বাসিন্দার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় যে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাঁদের সকলেরই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘করোনা উপসর্গ থাকা ব্লকের ১৫ জনের নমুনার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে।’’
অবশ্য এই পরিস্থিতিতেও গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন বাজারে ভিড়ের চেনা ছবি দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই জেলায় পরিদর্শনে আশার কথা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের। পর্যবেক্ষক দলের সফরের সম্ভবনায় ইতিমধ্যেই জেলায় প্রশাসনিকভাবে সমগ্র স্তরকে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর।
প্রশাসন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল জেলায় হাসপাতাল, বাজার, রেশন দোকান, ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে যেতে পারে। সেখানে করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছিল, সেই সব এলাকায় সতর্কতা বিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইতে পারে। পাশাপাশি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা খতিয়ে দেখার সম্ভবনা রয়েছে। তাই স্থানীয় প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা জুড়ে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এলাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’’
অন্যদিকে, শহিদ মাতঙ্গীনি ব্লকের যে দু’টি গ্রাম সিল করা হয়েছিল, এ দিন বিকেলে সেখানে যান জেলাশাসক পার্থ ঘোষ-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মাস্ক পরা-সহ অন্য সতর্কতা বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা তাঁরা খতিয়ে দেখেন।