বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
নিজেই ঠিক করেছেন জয়ের ব্যবধান। ঘোষণা করেছেন, খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটে জিতবেন বিজেপি প্রার্থী। পাশাপাশি অভিযোগ করেছেন পুলিশ-মাফিয়া-শাসকদলের যোগের। ভোট প্রচারের শেষলগ্নে তাই টানা রেলশহরে পড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার খড়্গপুর সদর উপ-নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন দিলীপ। এ দিন বিকেলে তালবাগিচায় পদযাত্রায় যোগ দেন তিনি। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ এই উপ-নির্বাচনে অশান্তি আশঙ্কা করেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, “সমাজবিরোধী ভোটের ময়দানে নামলে সমাজবিরোধীকে দেখে নেব। পুলিশকেও দেখে নেব। সেই ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।” আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশ-মাফিয়া যোগের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এ দিন দিলীপকে বলতে শোনা যায়, “আমি ভোট পর্যন্ত খড়্গপুরে থাকব। খড়্গপুরের মানুষের সঙ্গে আমি আছি। তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমি করব।” তবে রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ কোম্পানি আধাসেনা চেয়েছি। গত লোকসভা নির্বাচনে যেখানে রাজ্য পুলিশ ছিল সেখানে ভোট লুঠ হয়েছে। তাই সিআরপিএফ চেয়েছি।” গত লোকসভা ভোটে ৯৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন দিলীপ। এ বার তাঁর লক্ষ্য কত? দিলীপের জবাব, “এ বার লক্ষ্য এক লক্ষ ভোট।”
দিলীপ যখন এ দিন প্রচারে শহর ঘুরেছেন তখন শহরে এসে তিনটি পথসভায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী। বিজেপির সমালোচনা করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন সুব্রত। বলেছেন, “মা-মাটি-মানুষের সরকার যতদিন থাকবে ততদিন বাংলার মাটিতে এনআরসি নামে কোনও পদার্থ থাকবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy