ফাইল চিত্র।
পুনর্বাসন প্যাকেজ ও চাকরির দাবিতে এ বার সরব হলেন বেলপাহাড়ি ব্লকের প্রাক্তন মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তনীরা। শুক্রবার চাকাডোবা মাঠে সভা ডেকে সেখানে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, ‘বঞ্চিত’ থাকলে জঙ্গলমহলও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বঞ্চিত করবে।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল এবং ঝাড়গ্রামের বিরিহাঁড়িতে সভা করে একই দাবি করেছিলেন জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তনীরা। এ দিন বেলপাহাড়ির চাকাডোবায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন্টা চারেক বৈঠক হয়। পরে প্রাক্তন মাওবাদী তুলসী মাহাতো, জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তন নেতা জগন্নাথ সর্দাররা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা আমাদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। বিধানসভা ভোট আসছে। আমরা সিপিএম বিরোধী আন্দোলন করে দিদিকে ক্ষমতায় এনেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সেই কারণে দিদিকে বার্তা দিতে এই সভা।’’
প্রাক্তনীরা আরও জানান, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাম জমানায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা ঝুলছে। মামলার খরচ চালাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার যাঁরা মূল স্রোতে ফিরেছেন, তাঁদের অধিকাংশ প্যাকেজ ও চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু ঝাড়গ্রামে সংখ্যাটা খুবই কম। হতাশ ওই সব প্রাক্তনীদের দাবি, লোকসভা ভোটে নিষ্ক্রিয় থেকে তাঁরা বার্তা দিয়েছেন। জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তনী উজ্জ্বল সর্দার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে বাম জমানায় দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলাগুলি প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু একটা মামলাও তোলা হয়নি।’’ প্রাক্তন মাওবাদী আনন্দ মুড়া, মনোজ কালিন্দিদের কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটে তৃণমূল হেরেছে তার কারণ আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা বঞ্চিত হলে দিদিও বঞ্চিত হবেন।’’
জনসাধারণের কমিটির প্রাক্তনীরা জানালেন, রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পরে ছত্রধর মাহাতো বৈঠক করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের তরফে সাড়া মেলেনি। ছত্রধর বলেন, ‘‘ওদের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে জানিয়েছিলাম। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি কোন স্তরে রয়েছে খোঁজ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy