মেয়ের উপর অত্যাচারের কথা জানতে পেরে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ছুটে গিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু সেখানে পৌঁছতেই জামাইয়ের হাতে প্রহৃত হন তিনি ও তাঁর পরিবারের তিনজন। সোমবার রাতে তমলুক থানার খারুই গ্রামের ঘটনা। জখমদের ভর্তি করানো হয়েছে তমলুক জেলা হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিনয় পলাতক। তাঁকে ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর মির্জাপুর গ্রামের মেয়ে পাপিয়া অধিকারীর সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয়েছিল পাশের খারুই গ্রামের বাসিন্দা বিনয় গোস্বামীর। বিনয় পেশায় পুরোহিত। তাঁদের চার বছরের এক ছেলেও রয়েছে। কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে টাকা দাবি করে বেশ কিছুদিন ধরে বিনয় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে ফের পাপিয়াদেবীকে মারধর করা হয়। এমনকী খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। বিষয়টি ফোনে বাবা দুলাল অধিকারীকে জানিয়েছিলেন পাপিয়া।
এরপরই দুলালবাবু, ছেলে-ভাইপোসহ কয়েকজন প্রতিবেশী নিয়ে রাতেই মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান মেয়ের খোঁজ করতে গেলে বিনয় উত্তেজিত হয়ে আচমকা খুর দিয়ে দুলালবাবুর ডানদিকের গালে আঘাত করে বলে অভিযোগ। এরপর দুলালবাবুর ভাইপো ও তাঁদের এক প্রতিবেশী বাধা দিতে গেলে তাঁদের গলায়তেও বিনয় খুর চালন বলে অভিযোগ। জখমদের উদ্ধার করে রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুলালবাবুর অভিযোগ, ‘‘টাকা চেয়ে বিনয় বেশ কিছুদিন ধরে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল। মেয়েই জানিয়েছিল ওকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে জামাই। আর মেয়েকে বাঁচাতে যাওয়ায় বিনয় আমাদের উপর হামলা করে।’’