ব্লক সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুনর্বহাল করা হল লালগড় ব্লকের চার অঞ্চলের সভাপতিকে, যাঁরা রবিবার ব্লক সম্মেলনে অপসারিত হন।
ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় ও ব্লক যুব সভাপতি তন্ময় রায়— লালগড়ে তৃণমূল এই দু’জনের শিবিরে আড়াআাড়ি বিভক্ত। রবিবার অপসারিত হওয়া যে চার জন অঞ্চল সভাপতিকে মঙ্গলবার পুনর্বহাল করা হয়েছে, তাঁরা তন্ময় রায়ের অনুগামী। ফলে, বনবিহারীর কাছে প্রথমে পিছু হটলেও তন্ময় দাপটে ফিরে এলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তন্ময় রায় বলেন, ‘‘ওঁদের অন্যায় ভাবে সরানো হয়েছিল। দল যেটা ভাল বুঝেছে, সেটাই করেছে।’’ ধরমপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ মাহাতোর কথায়, ‘‘তা হলে এ বার কী হল? বনবিহারী রায় তো পুরোপুরি ব্যাকফুটে চলে গেল!’’
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার তন্ময় রায়ের ওই চার অনুগামীকে সরিয়ে নিজের ঘনিষ্ঠদের বসিয়ে বনবিহারী রায় ও তাঁর অনুগামীরা যখন উল্লসিত, বিপক্ষ শিবির তখন নিঃশব্দে ঘুঁটি সাজায়। সোমবার তৃণমূল ভবনে এসে তাঁরা দেখা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর সঙ্গে।
তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো ওই চার জনকে পুনর্বহাল করে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে লেখা: সুব্রত বক্সীর নির্দেশেই তাঁদের পুনর্বহাল করা হল। সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘জেলা নেতৃত্বের সবাই সম্মেলনে ছিলেন না। ইচ্ছা মতো ওই ভাবে কাউকে অপসারণ করা যায় না।’’
দলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়ের বক্তব্য, ‘‘আমি সুব্রতবাবুর সঙ্গে কথা বলব। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব। সুবিচার না পেলে দল ছাড়তে বাধ্য হব।’’ বনবিহারীর কথায়, ‘‘চূড়ামণিবাবুর উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত হয়। অথচ তিনিই চার জনকে চিঠি তাঁদের পুনর্বহাল করলেন।’’
চূড়ামণি মাহাতোর দাবি, ‘‘আসলে যখন অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঠিক সেই সময়ে আমি মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলাম। আমার একটা ফোন এসেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy