Advertisement
E-Paper

ট্রেনে সহযাত্রীর দেওয়া লাড্ডু খেয়ে অজ্ঞান! দুই স্যাকরার কাছ থেকে টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট

অভিযোগ, লাড্ডু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরে অচেতন হয়ে পড়েন শম্ভু এবং সৌমেন। পরে শালবনি স্টেশনের কাছে তাঁদের ঘুম ভাঙলে বুঝতে পারেন, দু’জনের পকেট থেকে উধাও হয়েছে টাকা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৯:০৫

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

চলন্ত ট্রেনে দুই যাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান কয়েক জন। তাঁরা পেশায় সোনার গয়নার কারিগর। অভিযোগ, তাঁদের ঘুমের ওষুধ মেশানো লাড্ডু খাইয়ে বেহুঁশ করেন কয়েক জন সহযাত্রী। তার পরে ওই দু’জনের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্তেরা। পুরী-নয়াদিল্লি নন্দনকানন এক্সপ্রেসে এই ঘটনা হয়েছে। ট্রেন থেকে মেদিনীপুর স্টেশনে নামার পর ওই দু’জনকে উদ্ধার করে জিআরপি (রেলপুলিশ)। শম্ভুনাথ হাজরা এবং সৌমেন মণ্ডল নামে দুই যাত্রীকে ভর্তি করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।

শম্ভুনাথের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সোনাখালি এলাকায়। সৌমেনের বাড়ি পিংলা থানা এলাকায়। দু’জনেই দিল্লির করলবাগ এলাকায় দু’টি সোনার দোকানে কাজ করেন। শম্ভুনাথ জানান, দিল্লির আনন্দবিহার থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন। ট্রেনে পরিচয় হয় দু’জনের সঙ্গে। তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশনে নেমে আবার হাওড়া লোকাল ধরে বালিচক স্টেশনে নামবেন বলে জানান। শম্ভুনাথ এবং সৌমেনেরও খড়্গপুর স্টেশনে নামার কথা ছিল। সেখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় যাওয়ার কথা ছিল। শম্ভুনাথ জানিয়েছেন, সেই সূত্রে ওই দু’জনের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা শুরু হয়। মির্জাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পরে তাঁদের লাড্ডু খেতে দেন ওই সহযাত্রীরা। শম্ভুনাথ জানিয়েছেন, তাঁরাও লাড্ডু খাচ্ছিলেন বলে কোনও সন্দেহ হয়নি।

অভিযোগ, লাড্ডু খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরে অচেতন হয়ে পড়েন শম্ভু এবং সৌমেন। পরে শালবনি স্টেশনের কাছে তাঁদের ঘুম ভাঙলে বুঝতে পারেন, দু’জনের পকেট থেকে উধাও হয়েছে টাকা। শম্ভুনাথ জানান, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে ২০ হাজার টাকা করে ছিল। যে সোনার দোকানে তাঁরা কাজ করেন, সেখানকার মালিক ওই টাকা দিয়েছিলেন। সৌমেনের সোনার আংটিও নেই বলে অভিযোগ। তত ক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। জিআরপিকে খবর দেওয়া হলে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জিআরপির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

GRP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy