Advertisement
০১ মে ২০২৪
Kolaghat Murder

৪০ লক্ষ টাকার গয়না ছিনিয়ে চম্পট! কোলাঘাটে আগেও দু’বার সমীরকে ‘টার্গেট’ করেছিল দুষ্কৃতীরা

সোমবার রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাটের সোনার দোকানের মালিক সমীর পড়িয়াকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার গয়না ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Gold worth 40 lakh was taken from businessman of Kolaghat

(বাঁ দিকে) কোলাঘাটের মৃত ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া। শোকে ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোলাঘাট শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২৯
Share: Save:

কোলাঘাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া খুনে নতুন মোড়। পুলিশ মৃতের পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, যুবকের কাছে ৪০ লক্ষ টাকার গয়না ছিল। সোনা এবং রুপোর সামগ্রী নিয়ে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর। পথে তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। গুলি করে খুন করা হয়। পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীদের হয়তো চিনে ফেলেছিলেন সমীর। সেই কারণেই বেঘোরে প্রাণ দিতে হল তাঁকে।

৩৭ বছরের সমীরের গয়নার দোকান রয়েছে কোলাঘাটের জিঞদা বাজারে। প্রতি দিনের মতো সোমবার দোকান বন্ধ করে জাতীয় সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাট থানার দেউলবাড় এলাকায় সবিতা রাইস মিলের কাছে আচমকা দুষ্কৃতীরা তাঁর সামনে চলে আসে। সমীরের মাথা লক্ষ্য করে একটি গুলি করা হয়। তার পর ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মৃতের বাবা সুকুমার পড়িয়া জানান, গত রাতে সমীরের ব্যাগে ছিল পাঁচ থেকে ছ’টি বাড়ির বিয়ের গয়না। এ ছাড়া, ২০০ গ্রাম সোনা কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ছিল আড়াই কেজি রুপোর গয়না। সব মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ৪০ লক্ষ টাকা।

সুকুমার বলেন, ‘‘ছেলে সম্ভবত দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলেছিল। দুষ্কৃতীদের মধ্যে ছেলের পরিচিত কেউ থাকতে পারে। সেই কারণেই মাথায় গুলি করে ওকে মেরে ফেলেছে। এর আগেও দু’বার ওর উপর হামলা হয়েছিল। প্রথম বার প্রায় বছর পাঁচেক আগে দোকানে ডাকাতি হয়। দ্বিতীয় বার দোকান থেকে ব্যাগ তুলে নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ছেলে দুষ্কৃতীদের পিছনে ধাওয়া করেছিল। কিন্তু ডেবরার কাছে দুষ্কৃতীরা ওকে বন্দুক দেখালে ভয় পেয়ে ও পালিয়ে আসে। সেই ঘটনায় পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগও জানানো হয়েছিল। তৃতীয় বারের হামলায় ছেলেটার প্রাণটাই চলে গেল।’’

মৃতের বাবা আরও জানিয়েছেন, এলাকার দুষ্কৃতীরা আর পুলিশকে ভয় পাচ্ছে না। সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটল। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে বলেন, “ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জেলার সদর দফতর এবং কোলাঘাট থানায় পৃথক ভাবে তদন্ত চলছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা নিছক ডাকাতি, না কি এর নেপথ্যে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolaghat Murder Case Gold Business East Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE