Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Grant

লক্ষ্য গ্রামীণ উন্নয়ন, অর্থ কমিশনে বিপুল বরাদ্দ

বরাদ্দের ৫০ শতাংশ টাকায় স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্প, শৌচাগার নির্মাণ, পানীয় জল প্রকল্প, বৃষ্টির জল ধরে রাখার মতো প্রকল্প করা যেতে পারে। বাকি ৫০ শতাংশে স্থানীয় চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় পরিকাঠামো গড়া যেতে পারে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:১৭
Share: Save:

লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যপূরণে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য বিপুল টাকা বরাদ্দ হতে চলেছে।

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরের জন্য প্রায় ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা। এর এক চতুর্থাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত সাঁতরা মানছেন, ‘‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বরাদ্দকৃত টাকায় কাজের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।’’ প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে কাজের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই পরিকল্পনাগুলি চূড়ান্ত হবে।

কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকা খরচের প্রশ্নে এ বার পুরনো নিয়ম ফিরছে। এক সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতই অর্থ কমিশনের টাকা খরচের সুযোগ পেত। কিন্তু চতুর্দশ অর্থ কমিশনে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি— এই দুই স্তরকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ফলে, অর্থ কমিশনের টাকায় উন্নয়নের সুযোগ হারিয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ। এ নিয়ে ওই দুইস্তরে অসন্তোষও দেখা দেয়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে অবশ্য ফের পঞ্চায়েতের তিনস্তরের জন্যই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রাপ্তি যোগ মোট বরাদ্দ: ৬৭ কোটি ২৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫৪ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জন্য: ৪৭ কোটি ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৬৮ টাকা পঞ্চায়েত সমিতিগুলির জন্য: ১০ কোটি ৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৯৩ টাকা জেলা পরিষদের জন্য: ১০ কোটি ৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৯৩ টাকা পঞ্চায়েত সমিতি বরাদ্দ* কেশপুর ৮২ নারায়ণগড় ৭৮ ডেবরা ৭০ সবং ৬৩ শালবনি ৫২ ঘাটাল ৫২ * লক্ষ টাকায় (যে সব পঞ্চায়েত সমিতির জন্য ৫০ লক্ষের বেশি টাকা বরাদ্দ হয়েছে) (পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ-হিসেব। তথ্যসূত্র: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন)

প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৭০ শতাংশ টাকা এবং জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি ১৫ শতাংশ করে টাকা পাবে। ওই সূত্রে খবর, জেলায় ২১টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ২১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ফলে, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৭ কোটি ৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৬৮ টাকা। পঞ্চায়েত সমিতিস্তরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি ৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৯৩ টাকা এবং জেলা পরিষদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ কোটি ৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৬৯৩ টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে তুলনায় বেশি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে কেশপুর, নারায়ণগড়, সবং, ডেবরা, শালবনি, ঘাটাল প্রভৃতি পঞ্চায়েত সমিতির জন্য।

বরাদ্দের ৫০ শতাংশ টাকায় স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্প, শৌচাগার নির্মাণ, পানীয় জল প্রকল্প, বৃষ্টির জল ধরে রাখার মতো প্রকল্প করা যেতে পারে। বাকি ৫০ শতাংশে স্থানীয় চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় পরিকাঠামো গড়া যেতে পারে। পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরকেই সেই মতো কাজের পরিকল্পনা করার কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনের ওই সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে নির্দিষ্ট কিছু প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক সময়ে চাহিদার তুলনায় কম পড়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দশম অর্থ কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি পঞ্চায়েতে জনসংখ্যার বিচারে কিছু টাকা ‘নিঃশর্ত তহবিল’ হিসাবে দেওয়া হবে। যা পঞ্চায়েতগুলি স্থানীয় মানুষের দাবিপূরণের ক্ষেত্রে খরচ করবে। এ ক্ষেত্রে পরিষেবামূলক কাজকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Grant Central
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE