বিদিশা বিশুই, দেবকুমার রায়, অর্ঘ্যদীপ সরকার
প্রতিকূলতার পাহাড় টপকেই উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ওরা।
বিদিশা বিশুই, দেবকুমার রায়, অর্ঘ্যদীপ সরকাররা দারিদ্র্যকে হারিয়েই তাক লাগানো নম্বর পেয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে। দাঁতে দাঁত চেপে স্বপ্নপূরণের লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। তবে সামনে আরও অনেকটা পথ এগোতে হবে।
মেদিনীপুর অলিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী বিদিশা বিশুইয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪২৮। বিদিশা কলা বিভাগের ছাত্রী। বাবা মলয়বাবুর মাছ বিক্রি করেন। মা কাকলিদেবী সংসার সামলাতেই ব্যস্ত। বাড়িতে স্বচ্ছলতা ছিল না। তাই লড়াই করে এগোতে হয়েছে বিদিশাকে। বাংলায় এই কৃতী ছাত্রী পেয়েছে ৮৪, ইংরাজিতে ৮৪, সংস্কৃতে ৭৪, ভূগোলে ৯০। বিদিশা শিক্ষিকা হতে চায়। আপাতত ইংরাজিতে অনার্স পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে দুর্ভাবনার কাঁটাটা বিঁধছেই। কৃতী এই ছাত্রী বলছে, “পড়াটা চালিয়ে যেতে হবে। দেখি কী হয়।’’
শালবনির ভাদুতলা হাইস্কুলের ছাত্র দেবকুমার রায়ও লড়াই করেই উচ্চ মাধ্যমিকে ৪১৩ নম্বর পেয়েছে। বাবা বিশ্বজিৎবাবুর মিষ্টির দোকান রয়েছে কর্ণগড় মন্দিরের সামনে। ছোট দোকান, লাভ সামান্যই। মা অঞ্জলিদেবী গৃহবধূ। এ সবের মধ্যেই কলা বিভাগের ছাত্র দেবকুমার বাংলায় পেয়েছে ৮৩, ইংরাজিতে ৬৫, ভূগোলে ৮৪, ইতিহাসে ৮১। বিশ্বজিতের চোখেও শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। আপাতত ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়বে। আর্থিক দুর্দশার মধ্যেও লড়াই করে এতটা এগিয়ে এসেছে এই কৃতী ছাত্র। তার কথায়, “সামনে আরও বাধা থাকবে। চেষ্টা করব সব বাধা টপকে এগিয়ে যাওয়ার।’’
শালবনিরই ভাদুতলা হাইস্কুলের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ সরকারের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৩৯৩ কলা বিভাগের ছাত্র অর্ঘ্যদীপ বাংলায় পেয়েছে ৭৫, ইংরাজিতে ৭৪, ভূগোলে ৮৩, ইতিহাসে ৭৬, সংস্কৃতে ৮২। তার বাবা মৃণালকান্তিবাবু মেদিনীপুরে এক জল পাম্পে কাজ করেন। মা শান্তাদেবী গৃহবধূ। অর্ঘ্যদীপও ভূগোল অনার্স পড়তে চায়। স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy