হোটেল মালিকদের বৈঠক নিজস্ব চিত্র।
করোনাবিধির জেরে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা। দিঘায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা থাকলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না বলেই মনে করেন ব্যবসায়ী সংগঠনের একাংশ। গত কয়েক দিনে তলানিতে চলে গিয়েছে রোজগার। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বুধবার রাতে নতুন দিঘায় বৈঠকে বসেছিলেন হোটেল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা। দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘এক দিকে রাজ্য সরকার হোটেল খুলে দেওয়ার ঘোষণা করলেন। আবার অন্য দিকে পর্যটকদের কোভিড টেস্ট করাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এতে সমস্যা হচ্ছে মালিকদের।’’
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগাম কোভিড টেস্ট না করিয়ে দিঘায় এলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া হাজার হাজার পর্যটক দিঘায় এসে কোভিড টেস্ট করাতে চাইলে তার বন্দোবস্ত করা অসম্ভব। অন্য দিকে হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দাবি, দিঘায় র্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হলেই পর্যটকদের বেড়াতে আসার আগ্রহ বাড়বে। কারণ দিঘা বেড়াতে আসার জন্য পর্যটকদের হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়। তাই হাসপাতালে লাইন দিয়ে কোভিড টেস্ট করাতে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কেউ।
এই দুইয়ের মাঝে পড়ে দিঘা, শঙ্করপুরের মতো সৈকত শহরের পর্যটন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত। বিপ্রদাস বলেন, ‘‘এই সমস্যার সমাধান কী ভাবে হবে তার রাস্তা খোঁজার জন্যই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। এই বিষয়টি পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের নজরে আনা হবে।’’ দিঘার পর্যটন শিল্প এবং তার সঙ্গে জড়িতদের সমস্যা রাজ্য সরকার দ্রুত মেটাবে বলেই আশাবাদী তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy