Advertisement
E-Paper

তিন দিন নিখোঁজের পর বাড়ির পিছনে পুকুরে ভেসে উঠল বধূর দেহ! আটক স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ইদানীং স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। তবে কারণ জানেন না কেউ। মৃতার দাদা রামচন্দ্র বেরা দাবি করেন, খুন করা হয়েছে বোনকে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৯
Mystery Death at Belda

পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় বধূর দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

দু’দিন তাঁর খোঁজ মেলেনি। তৃতীয় দিনে বাড়ির পাশে পুকুরে ভেসে উঠল ‘নিখোঁজ’ বধূর দেহ। শনিবার এ নিয়ে উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে আটক হলেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন সদস্য। অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ৪০ বছরের বিজলী বেরাকে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন-২ ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জ্যোতিবাড় এলাকার বাসিন্দা বিজলী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৫ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার বিজলীর স্বামী প্রদীপ বেরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। শনিবার সকালে বাড়ির পিছনে পুকুরে বিজলীর দেহ ভেসে উঠতে দেখেন এক প্রতিবেশী। মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বেলদা থানার অধীনস্থ জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ। তারা গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পরে আটক করা হয় মৃতার স্বামী, শাশুড়ি এবং ভাসুরকে।

বিজলী ও প্রদীপের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে নাবালক। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ইদানীং স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। তবে কারণ জানেন না কেউ। বিজলীর দাদা রামচন্দ্র বেরা দাবি করেন, খুন করা হয়েছে বোনকে। তিনি বলেন, ‘‘কী কারণে মৃত্যু হল ওর, তার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পুলিশ।’’

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাপের বাড়ির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে বিজলীর দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।

Woman Death midnapore Belda Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy