Advertisement
২২ মার্চ ২০২৩
Digha Sea Beach

Digha: সৈকত সাজাতে আইআইটি-র সাহায্য

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম প্রশাসনিক সফরে এসে দিঘাকে গোয়া বানানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন।

ইমারতি সামগ্রী ফেলে গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে হলদিয়ার ১৭ নম্বর ক্লাস্টারে।

ইমারতি সামগ্রী ফেলে গাছ মেরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে হলদিয়ার ১৭ নম্বর ক্লাস্টারে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ০৭:১৪
Share: Save:

সৈকত শহর দিঘাকে আরও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে কী কী পরিকাঠামো দরকার এবং সে সব কোথায় করা হবে তা খতিয়ে দেখবে খড়গপুর আইআইটি। খড়গপুর আইআইটিকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। সৈকত শহরে নতুন করে বাজার, পর্যটকদের গাড়ি পার্কিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন শিল্পে বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম প্রশাসনিক সফরে এসে দিঘাকে গোয়া বানানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারপরে গত কয়েক বছরে সৈকত শহরের চেহারা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে দিঘায়। করোনার ধাক্কায় তা কিছুটা মার খেলেও ক্রমশ ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দিঘা, তাজপুর এবং মন্দারমণির মতো উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি।

সমুদ্র দেখতে দেখতে মেরিন ড্রাইভ ধরে পর্যটকেরা যাতে কাঁথি থেকে দিঘা পৌঁছে যেতে পারেন সে জন্য কাজ চলছে। কাজ শুরু হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে জগন্নাথ সেবা ধাম তৈরির। এ সব শেষ হলে সৈকত শহরের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশাবাদী প্রশাসন। জেলা প্রশাসন এবং দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের খড়গপুর আইআইটির কয়েকজন অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধি দল দিঘায় এসেছিলেন। তাঁরা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি ওল্ড এবং নিউ দিঘা ঘুরে গিয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাতে প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে সৈকত শহরের। বিশেষত ইয়াসের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গিয়েছে দিঘা। তাই সমুদ্র উপকূলে কোন কোন নির্মাণ এবং পরিকাঠামো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং তা প্রতিরোধ করতে কী উপায় নেওয়া যেতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হলে সৈকত শহরে লক্ষ লক্ষ পর্যটকের আগমন ঘটবে। তাই দিঘায় সুপরিকল্পিতভাবে পর্যটকদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা এবং নতুন কিছু বাজার তৈরিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। কোন কোন জায়গায় ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় আইআইটি প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখে তার রিপোর্ট দেবেন নগর উন্নয়ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের কাছে। সৈকত শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা যায় এবং কোন পদ্ধতিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে, সে ব্যাপারেও প্রতিনিধি দল রূপরেখা চূড়ান্ত করে দেবে রাজ্য সরকারকে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, ‘‘খড়গপুর আইআইটি প্রতিনিধিরা প্রাথমিকভাবে দিঘা ঘুরে গিয়েছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশক্রমে দিঘাকে কী ভাবে আরো সাজানো যায় সেই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট জেলা প্রশাসন এবং নগর উন্নয়ন দফতরকে তাঁরা দেবেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে দিঘায় আরও উন্নয়নের কাজ চলবে।’’

যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ও রামনগর কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী স্বদেশ নায়ক বলেন, ‘‘এমনিতেই দিঘার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংসের পথে। তাই এমন কোনও পদক্ষেপ করা হোক যাতে প্রাকৃতিক সম্পদকে ধরে রেখে ও মানুষের জীবন-জীবিকা সুরক্ষিত রেখে উন্নয়ন হয়। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভাবা উচিত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.