গোলবাজারের ভাণ্ডারিচকে একমুখী যান চলাচল। — নিজস্ব চিত্র।
রেলশহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতে যানজটের ফাঁসে নাকাল হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। যানজট কাটাতে এ বার উদ্যোগী হল পুলিশ। রবিবার খড়্গপুর শহরের গোলবাজারের ভাণ্ডারিচক সংলগ্ন গোলবাজার-সিমলা সেন্টার রাস্তা ও গোলবাজার-জুয়েলারি মার্কেট রাস্তায় একমুখী যান চলাচল ব্যবস্থা চালু করা হল। এতদিন এই দু’টি রাস্তাতেই দ্বিমুখী যান চলাচল করত।
রেলশহরের সবচেয়ে বড় বাজার হল গোলবাজার। দিনে দিনে গোলবাজারে দোকানপাটের সংখ্যা বেড়েছে। এই গোলবাজারের মধ্য দিয়েই গিয়েছে ওই দু’টি রাস্তা। ভাণ্ডারিচকের গোলবাজার সেতু শহরের উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে সংযুক্ত করেছে। আগে এই সেতু দিয়ে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতে গোলবাজার-সিমলা সেন্টার বা গোলবাজার-জুয়েলারি মার্কেট রাস্তার যে কোনও একটি ব্যবহার করলেই চলত। এখন গোলবাজার সেতু দিয়ে শহরের দক্ষিণ অংশে রেলের মূল স্টেশন, রেলের ডিভিশন অফিস, ঝাপেটাপুরে পুরসভা, হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সিমলা সেন্টারের রাস্তা ধরতে হবে। অন্য দিকে, গোলবাজার সেতু থেকে শহরের উত্তরে গোলবাজার, মালঞ্চ ব্যাঙ্কপাড়া, বাসস্ট্যান্ডে যেতে হলে জুয়েলারি মার্কেটের রাস্তা দিয়ে
যেতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শহরের মালঞ্চ, ইন্দা, গোলবাজারের বিভিন্ন রাস্তায় যানজট বড় সমস্যা। ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা গোলবাজারে রাস্তা সঙ্কীর্ণ। বাজারে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা নেই। ফলে রাস্তার দু’ধারেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজটে নাভিশ্বাস উঠত শহরবাসীর। সঙ্কীর্ণ পথে বেপরোয়া পথে গাড়ি চলায় প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটত। গোলবাজারের রাস্তায় একমুখী যান চলাচল চালু হওয়ায় যানজট অনেকাংশে কমানো যাবে বলে শহরবাসীর একাংশের আশা। যদিও এই দু’টি রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে উভয় দিকেই যাতায়াত করা যাবে।
তবে রাস্তায় একমুখী যান চলাচল চালু হওয়ায় ক্রেতা হারানোর আশঙ্কা করছেন গোলবাজারের ব্যবসায়ীরা। বাজারের একাংশ ব্যবসায়ীর মতে, আগে দু’টি রাস্তাতেই দ্বিমুখী যান চলাচল করায় বাজারে ক্রেতার ভিড় অনেক বেশি হত। এখন রাস্তা দু’টি দিয়েই একদিকে যান চলাচল করায় ক্রেতার সংখ্যা কমতে পারে। কেননা, তখন ঘুরপথে অনেকেই দোকানে আসতে চাইবেন না। যদিও গোলবাজারের এক ব্যবসায়ী আকাশ জৈন বলেন, ‘‘পুলিশের এই পদক্ষেপ ভাল। প্রথম পর্যায়ে আমাদের দোকানে হয়তো অনেকেই ঘুরে আসবেন না। তবে দশ-বারো দিন পরে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠলে সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy