শুভেন্দু অধিকারী সভা করে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একই মাঠে পাল্টা সভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সভায় কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস যেমন ছিল, তেমনই ছিল ভিড় উপচে পড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর স্কুল মাঠে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি ও বিজেপির লাগাতার সন্ত্রাস এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসভা হয় শুক্রবার। এটি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বলে জেলা তৃণমূল দাবি করলেও বিজেপির অভিযোগ, পাল্টা সভা করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে তৃণমূল।
‘‘পুলিশ যার সাথে থাকে, কেশপুর তার দখলে হয়’’, বৃহস্পতিবার বলে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গে রয়েছি। একই দলে দীর্ঘদিন ঘর করেছি। হলদিয়ায় বিধায়ক ছিলাম। তখন উনি (শুভেন্দু অধিকারী) কী করেছেন, বা তার পরেও কী করেছেন, সবই জানা। ওঁর সব কীর্তি জানি। মুখ খুলিয়ে লাভ নেই। কেশপুরের মানুষ উন্নয়নের পাশে রয়েছে। এখানে পুলিশ লাগে না।’’
জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘এতদিন এতগুলো পদে বসে থাকার পর এখন তৃণমূল ওঁর কাছে খারাপ হয়ে গেল। সব সুবিধা নেওয়ার পর বেইমানি করেছেন। কেশপুরের মানুষ ওঁকে খুব ভালো ভাবেই চেনেন।’’
মদন মিত্র বলেন, ‘‘২০১৪ থেকে ৭ বছর ধরে অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে ধাপে ধাপে দলের পিঠে ছুরি মেরেছেন শুভেন্দু। এখন ওঁর মুখে বড় বড় কথা। ধাপে ধাপে উঠতে গিয়ে ধাপে ধাপেই বেইমানি করেছেন। একটা চিঠিতে ভয় পেয়ে গিয়েছেন। মদন মিত্রের উপর কি কম অত্যাচার হয়েছে? ৩ বছর জেলে থাকলেও মাথা নত করিনি। আগামী দিনেও করব না।’’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগ নিয়েও মন্তব্য করেন। বলেন, ‘‘যাঁরা চলে যাচ্ছেন, তাঁরা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট। ফলে কিছু হবে না। শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাচ্ছে। ফলে এখন যাঁরা আছেন, তাঁরা যোদ্ধা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy