শাসকদলের বিরুদ্ধে কার্যালয় দখলের অভিযোগে রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়ির বাইরে প্রতিবাদে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ ফাঁড়ির থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজেপি-র দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে গেলেন বিজেপি নেতৃত্ব। অবশ্য গেরুয়া শিবিরের থেকে ফুলের তোড়া গ্রহণ না করলেও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, কার্যালয় দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুলের তোড়া সহ এই বিচিত্র প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। চন্দ্রকোনা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী শিবরাম দাস, রামজীবনপুর মণ্ডল বিজেপি-র সভাপতি নন্দ নিয়োগী-সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে ধিক্কার জানিয়ে অভিযোগপত্র নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে সটান হাজির। ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের হাতে তাঁরা ফুলের তোড়া তুলে দিতে গেলে তা অবশ্য তিনি নেননি। যদিও অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন তিনি।
বিজেপি-র অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে রামজীবনপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ফাঁড়ির কাছে তাদের ওয়ার্ড কার্যালয়টি দখল করে নেয় তৃণমূল। দলের পতাকা-ফেস্টুন সমস্ত কিছুই কার্যালয় থেকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছে গেরুয়া শিবির। নন্দর দাবি, ‘‘নির্মল চৌধুরীর নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন আমাদের পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছে। এখানে সব রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান রয়েছে। তবে রামজীবনপুরের ইতিহাসে এমন লজ্জাজনক ঘটনা কখনও ঘটেনি।’’ কার্যালয়টি পুনরুদ্ধার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিজেপি।
কার্যালয় দখলের অভিযোগে বিজেপি-র নিশানায় রয়েছেন দিয়েছেন পুর প্রশাসক নির্মল চৌধুরী সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও এ অভিযোগ উড়িয়ে নির্মল বলেন, ‘‘২১ জুলাইয়ে শহিদ দিবস পালন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় পতাকা লাগানো চলছে। যদি ভুল করে কোথাও পতাকা লাগানো হয়ে থাকে, তবে আমরা সেগুলি খুলে নেব। তবে বিজেপি-র পার্টি অফিস দখল হয়ে গিয়েছে, এমন কোনও খবর জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy