আশঙ্কা ছিল দুর্যোগের। কয়েক দিন ধরে লাগাতার সতর্ক করেছিল প্রশাসন। কিন্তু, 'মোকা'র কোনও প্রভাব তেমন পড়ল না। উল্টে রাতারাতি সৈকত শহর দিঘার ছবিটাই বদলে গেল। স্বাভাবিক ছন্দ ফিরতে দেখা গিয়েছে মন্দারমণি এবং শঙ্করপুরেও।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, রবিবার ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে। ২০২১ সালে ইয়াসের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে এবার কয়েকদিন ধরে সতর্কতামূলক প্রচার অভিযান করেছিল প্রশাসন। ১২ এবং ১৩ মে পর্যটকেরা যাতে সমুদ্রে স্নান করতে না নামেন তার জন্য প্রচার চালিয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ। ফের মে মাসে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। সঙ্গত কারণে শনি এবং রবিবার বহু পর্যটক হোটেলের অগ্রিম রুম বুকিং বাতিল করেছিলেন। রবিবার সকালে বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আছড়ে পড়ে 'মোকা'। তবে, দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকা জুড়ে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল। মাঝেমধ্যে রোদের লুকোচুরি দেখা গিয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে দমকা বাতাস ছিল। তবে সমুদ্র মোটামুটি শান্ত ছিল। ফলে এদিন সকাল থেকেই দিঘা এবং মন্দারমণিতে ফের দেখা যায় পর্যটক-ভিড়ের ছবি। সমুদ্র স্নানে নেমে পড়েন অনেকে। ফিরে আসে সৈকত শহরের চেনা ছন্দ। সি বিচের ধারে বাঁধানো কংক্রিটের চেয়ারে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেন অনেকে।
উত্তর ২৪ পরগনার ঈশ্বরীগাছা থেকে সপরিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন পিন্টু হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আগেই দিঘা বেড়াতে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলাম। শনিবার দিনভর দূরদর্শনের পর্দায় চোখ রেখে অনেকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। তারপর ভোরেই ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে চলে এসেছি।’’
এদিন পর্যটকদে ভিড় দেখে খুশি হোটেল মালিক থেকে দোকানদাররাও। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল। তাই শনিবার বিকেল থেকে বহু পর্যটক দিঘা বেড়াতে এসেছেন। হোটেলগুলিতে রুমের চাহিদাও রয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)