বিয়ের ছবিতে স্বামীর সঙ্গে পায়েল। নিজস্ব চিত্র
তরুণীর অপমৃত্যুতে সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামী এবং শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকপাড়ার চিতলবনি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পায়েল ঘোষ (১৯)-এর দেহ মেলে। তাঁর মামা শৈলেন বেরার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেফতার হন পায়েলের স্বামী শিবু ঘোষ ও শ্বশুর অনুশীলন ঘোষ। শিবু মানিকপাড়া বিট হাউসের অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে চার দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও পণের দাবিতে বধূ মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
পায়েলের বাপের বাড়ি খড়্গপুরের তালবাগিচায়। পিতৃহীন পায়েল খড়্গপুর গ্রামীণের ধাদিকায় মামাবাড়িতেই থাকতেন। বছর খানেক আগে শিবুর সঙ্গে পায়েলের বিয়ে হয়। অভিযোগ, সাধ্যমতো যৌতুক দেওয়ার পরেও বাড়তি পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে পায়েলের উপর অত্যাচার হত। শুক্রবার বাপের বাড়ির লোকেরা খবর পান পায়েল অসুস্থ। শৈলেনের অভিযোগ, ভাগ্নীর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন মেঝেতে চাটাইয়ে শুয়ে পায়েল, গলায় কালশিটে। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পায়েলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মৃতার কাকা তপন মহাপাত্র ও মামা শৈলেন জানান, আগে একবার পায়েলের গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছিল। ফের অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি। অভিযোগ, গণৎকার জানিয়েছিলেন মেয়ে হবে। তাই শ্বশুরবাড়ি থেকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। রাজি না হওয়ায় পায়েলকে খুন করা হয়েছে।
তবে এ কথা অভিযোগে নেই। কেন? শৈলেনের জবাব, ‘‘ভাগ্নীর মৃত্যুতে মাথার ঠিক ছিল না। পরে পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy