Advertisement
E-Paper

বধূ হত্যার মামলায় ২৫ বছর পর গ্রেফতার শাশুড়ি

দীর্ঘ ২৫ বছর পরে বধূ হত্যার মামলায় অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেফতার করল সুতাহাটা থানার পুলিশ। শনিবার ডায়মন্ড হারবারের সরিষা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিরাশি বছরের বৃদ্ধা শেফালি রায়কে। ধৃতকে শনিবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৪ ০১:৩০

দীর্ঘ ২৫ বছর পরে বধূ হত্যার মামলায় অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেফতার করল সুতাহাটা থানার পুলিশ। শনিবার ডায়মন্ড হারবারের সরিষা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিরাশি বছরের বৃদ্ধা শেফালি রায়কে। ধৃতকে শনিবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

১৯৮৯ সালে সুতাহাটার চৈতন্যপুর গ্রামের অমিত রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মহিষাদল থানার রঙ্গিবসানের বাসিন্দা শুভ্রা মাইতির। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে অতিরিক্ত পণের দাবিতে ওই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল অমিত রায় ও শাশুড়ি শেফালি রায়ের বিরুদ্ধে। ওই বধূর বাবা সুকুমার মাইতির অভিযোগ ছিল, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে অভিযোগের পক্ষেই চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারায় আদালতে শুনানির কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। গত বছরের নভেম্বর মাসে মেদিনীপুরের কোতয়ালি থেকে অমিত রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার সকালে সরিষায় বোনের বাড়ি থেকে শেফালিদেবীকে ধরে পুলিশ।

সুকুমারবাবু মামলা রুজু করেছেন ১৯৮৯ সালে। ১৯৯০ সালে পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়। ১৯৯৪ সালে আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। ওই বছরই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান দুই অভিযুক্ত। ১৯৯৪ সালেই হাইকোর্ট থেকে মামলার সিডি খোওয়া যায়। পরে হাইকোর্টেরই নির্দেশে ১৯৯৫ সালে জেলা আদালত ও পুলিশের বিভিন্ন স্তর থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়। ঘটনার সব অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় এতদিন শুনানির দিন ধার্য হয়েও শুনানি হত না। ২০১৩ সালে জেলা আদালতে ভাস্কর ভট্টাচার্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের দায়িত্ব নেওয়ার পর মামলার এই দীর্ঘসূত্রিতা দেখে ক্ষুব্ধ হন। বিচারপতি অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশ আদালতকে জানায়, অভিযুক্তরা হাইকোর্ট থেকে জামিন না পাওয়ার পরেই স্থানীয় গ্রামের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে ফেরার রয়েছে। এরপরই বিচারক অভিযুক্তদের যে ভাবেই হোক গ্রেফতার করতে জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

murder murder of the bride mother-in-law arrested haldia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy