বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভার অধিবেশনে বার বার বেজে উঠল বিধায়কদের মোবাইল ফোন। আর তার জেরেই বেজায় ক্ষোভপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর এবং দৃষ্টি আকর্ষণ পর্ব শেষে বিধায়কদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। স্পিকার বলেন, ‘‘আমি লক্ষ্য করছি বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন বিধায়কদের মোবাইল ফোন বার বার বেজে উঠছে। ফলে বিধানসভার অধিবেশনের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। আমি আগেও বিধায়কদের বলেছিলাম, যদি বিধানসভা অধিবেশনে ফোন আনতে হয়, তবে তা সাইলেন্ট করে রাখতে হবে। কিন্তু অনেকেই আমার সে কথা শুনছেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আবার যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে আমি মোবাইল ফোন অধিবেশন কক্ষে আনা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করব। বিধায়কেরা নিজেদের পরিষদীয় দলের দপ্তরের মোবাইল জমা দিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে আসবেন। আবার ফিরে যাওয়ার সময় তা পরিষদীয় দলের ঘর থেকে নিয়ে যাবেন।’’
অধিবেশন পক্ষে ফোন বেজে উঠেছিল তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়ের। স্পিকারের ক্ষোভপ্রকাশের পর তিনি বলেন, ‘‘আজকের অধিবেশনে আমার ফোন বেজে উঠেছিল। সেই ঘটনার জন্য আমি লজ্জিত। আগামী দিন থেকে অধিবেশনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেই চেষ্টা আমি করব। স্পিকার বিধায়কদের উদ্দেশে যে কথা বলেছেন, তা একেবারে সঠিক বলেই আমি মনে করি।’’ বিধায়কদের আচরণে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কদের আচরণে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। স্পিকার কেন, আমিও বিধায়কদের বার বার বলেছি যাতে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে মোবাইল বেজে না ওঠে, সেই কারণে ফোন সাইলেন্ট রাখতে হবে। আমিও অধিবেশনে থাকার সময় সর্বদা ফোন সাইলেন্ট রাখি। দলের সদস্যদের নির্দেশ দেব, যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’’ বিজেপি পরিষদীয় দলের অন্যতম সদস্য ভগবানপুরে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি দাবি করেছেন, তাঁদের কোনও বিধায়কের ফোন অধিবেশনে বেজে ওঠেনি। তাঁর কথায়, ‘‘শাসকদল আগে নিজের বিধায়কদের শৃঙ্খলা শেখান।’’ যদিও, শুক্রবারে তুলনামূলক কম সংখ্যক বিজেপি বিধায়ক অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy