Advertisement
E-Paper

‘লোন নেবেন?’ ফোনে ফাঁদ পেতে ৪৯ কোটি টাকার প্রতারণা! বর্ধমান ও হুগলি থেকে গ্রেফতার দুই

রানাঘাট জেলা পুলিশ ও সাইবার থানার আধিকারিকেরা সোমবার রাতে হানা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলায়। অভিযানে শুভম রায় এবং গণেশ পাল নামে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ২১:৪৯
cyber fraud

—প্রতীকী চিত্র।

ফোন করে করে লোন নেওয়ার আবেদন। সেই ‘ফাঁদে’ পড়লেই নেওয়া হত ব্যাঙ্কের তথ্য। কারণ বোঝার আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যেত হাজার হাজার টাক। এ ভাবেই অনেককে প্রতারণা করে যাচ্ছিল একটি চক্র। ঋণ দেওয়ার নাম করে ৪৯ কোটি টাকা সাইবার প্রতারণার দুই মূল চক্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নদিয়ার ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, সহজে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাঁদের গুরত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে প্রতারণা করত একটি চক্র। প্রতারিত হচ্ছেন, এটা বোঝার আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছিল। বেশ কিছু দিন ধরে এমনই একটি চক্র কারবার চালাচ্ছিল নদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ওই চক্রটির হদিস পায় রানাঘাট জেলা পুলিশ। ধরা হয়েছে দুই প্রতারককে। তাঁরা প্রায় ৪৯ কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত।

বস্তুত, রানাঘাট জেলা পুলিশের সাইবার বিভাগ বিভিন্ন জায়গা থেকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ পাচ্ছিল। তার মধ্যে একটি অভিযোগ ‘কমন’— ভুয়ো ফোনকলের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হত। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকম ভাবে টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত। ফাঁদে পড়লেই চাওয়া হত ব্যাঙ্কের কাগজপত্র, চেক ইত্যাদি। কিন্তু লোন পাওয়া তো দূরের কথা, অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থই কী ভাবে যেন উধাও হয়ে যেত! এমনই বেশ কয়েক জন ঋণ নিতে আগ্রহ দেখিয়ে টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। রানাঘাট জেলা পুলিশ ও সাইবার থানার আধিকারিকেরা সোমবার রাতে হানা দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলায়। অভিযানে শুভম রায় এবং গণেশ পাল নামে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণাচক্রের অন্যতম পাণ্ডা এঁরাই। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এ ভাবেই অন্যদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাচ্ছিলেন তাঁরা। এই চক্রে আরও কয়েক জন রয়েছেন। তাঁরা বেশ কিছু মানুষকে টাকা দিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নিতেন। প্রতারণা করে তোলা টাকা ভাগ করে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে রাখা হত। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জেরা।

Crime Fraud Case Cyber fraud
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy