Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
farakka

Arrest: ফরাক্কায় গোলমালে ধৃত পাঁচ গ্রামবাসী

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা রুজু করে কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

তার টানা হচ্ছে। ছবি: নিজস্ব চিত্র

তার টানা হচ্ছে। ছবি: নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ০৭:২৯
Share: Save:

বিদ্যুতের তার টানা নিয়ে ফরাক্কার গ্রামে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষে রবিবার পাঁচ জন গ্রেফতার হলেন। বাধার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা এ দিনও হাইটেনশনের তার টানতে ওই এলাকার বাগানগুলির একাধিক গাছ কেটেছে। আগের দিনের গোলমালের প্রেক্ষিতে একটি কৃষক সংগঠনের পাঁচ সদস্যের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ দল এ দিন ঘটনাস্থলে যেতে চেষ্টা করে। তবে পুলিশে তাঁদের সেখানে যেতে দেয়নি। দিনভর দলটিকে হোটেলে ‘ঘরবন্দি’ করে রাখা হয়।

তবে শনিবারের গোলমাল ঘিরে এ দিনও সরগরম ছিল ফরাক্কা। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা রুজু করে কয়েক জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। আতঙ্কে গ্রামছাড়া বহু মানুষ। এই অবস্থায় সকলেই তাকিয়ে আদালতের দিকে। আজ, সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এ নিয়ে দায়ের রিট আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।

এ দিকে, ধৃত পাঁচ জনের চার জন ফরাক্কার বাসিন্দা হলেও একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার গগনপাহাড়ি গ্রামে। সে কেন গোলমালের সময় ওই গ্রামে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তিন জনকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক। বাকিদের জেল হেফাজত হয়েছে। কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা ওই সংগঠনের সদস্যরা এ দিন সকালে ফরাক্কায় আসে। তারা হোটেলে গেলে পুলিশ সেখানে তাঁদের আটকে দেয়। ওই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রবীর মিশ্রের ক্ষোভ, “কৃষকদের উপর বর্বরোচিত হামলা করেছে পুলিশ। অনেকে আহত। ভয়ে গ্রামছাড়া অনেকে। গ্রামে গিয়ে কৃসকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেতে দিল না।’’ তবে ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওঁরা এসেছিলেন। বিডিওর সঙ্গে বৈঠক করে তারা ফিরে গিয়েছেন। কোথাও কোনও বাধা দেওয়া হয়নি তাঁদের।

ফরাক্কার ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “যে শিল্পগোষ্ঠী ফরাক্কায় বিদ্যুতের লাইন বসাচ্ছে, তারা দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) খুব কাছের লোক, মোদীরও (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী)। তাই তাদের দিদি তো সাহায্য করবেই।’’ তিনি আরও বলেন, “ওই শিল্পগোষ্ঠীর লোকজন আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ করার কথা বলি। কারণ, শিল্পের বিরোধিতা করা কংগ্রেসের উদ্দেশ্য নয়। কোনও জমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গেলে আম, জাম, কাঁঠাল নষ্ট হয় কি না, আমার জানা নেই। কিন্তু তার যাওয়ার জন্যে জমি নষ্ট হলে এবং ক্ষতিপূরণ না পেলে আন্দোলন করা দরকার। তবে পুলিশেরও উচিত হয়নি, এ ভাবে শক্তি প্রয়োগ করা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

farakka arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE