Advertisement
E-Paper

ট্রাক-ভ্যান-অ্যাম্বুল্যান্সে চার দিন ধরে ফেরা

বাড়ির উঠোনে হাসি ফোটাতে বাড়তি রুজির হাতছানিতে ওঁদের ঠিকানা ভিন প্রদেশে। কিন্তু লকডাউনের অনুশাসনে রুজি তো গেছেই ঘরে ফেরাও ঝুলে ছিল সুতোর উপরে। দুর্বিষহ সেই প্রবাস কিংবা অনেক লড়াইয়ের পরে ফিরে আসার সেই গল্প বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা, শুনল আনন্দবাজারবাধ সাধল করোনা ভাইরাস। হঠাৎ করে যেমন কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ায় ওলোট পালোট করে দেয় আমাদের অবস্থা হল সে রকম।

আক্রাম শেখ

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০৩:৪৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

রেডিমেড পোশাকের রমরমা শুরু হওয়ার পর থেকে দর্জির কদর কমতে থাকে। সেই সময় থেকে আমি মুম্বই চলে যায়। সেখানে এক নামী কোম্পানিতে প্যান্ট সেলাই করতাম। আয় মন্দ হত না। এই কোম্পানিতে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে আমি একাই ছিলাম। বাকিরা ছিল ২৪ পরগনার বসিরহাটের। আমাদের সবার রান্না এক সঙ্গে হত। একটি পরিবারের মতো থাকতাম। সুখী সুন্দর পরিবার। বাধ সাধল করোনা ভাইরাস। হঠাৎ করে যেমন কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ায় ওলোট পালোট করে দেয় আমাদের অবস্থা হল সে রকম। প্রথম লকডাউন শুরু হতেই আমাদের হিসাব কোম্পানি বুঝিয়ে দিয়ে বলল, যেমন করে পার বাড়ি চলে যাও। মুম্বাই শহর ক্ষণিকের মধ্যে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। ঠাকুরমার ঝুলির গল্পের মতো। আমরা থাকতাম মুম্বাইয়ের সান্টা ক্রুজে। সব সময় মানুষের আনাগোনা ছিল। সেই জায়গা শ্মশানের মতো হয়ে গেল। খাবার যা ছিল দশ দিনে শেষ। ভাবতে লাগলাম কি করে বাড়ি আসি। একটা পথ পেলাম দালালের মাধ্যমে। হলদিয়া ট্রাক যাবে। সেই ট্রাকে যেতে হবে তাহলে দু'জনের বেশি নয়। আমি আর বসিরহাটের খালেক দু’জনে।

West Bengal Lockdown Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy