দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরেও উৎসবের রেশ কাটে না তেহট্টবাসীর। তাঁদের কাছে এই এলাকার সব চেয়ে বড় উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। শোনা যায় কৃষ্ণনগর, চন্দননগরের পাশাপাশি প্রায় অনেক বছর ধরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর চল রয়েছে তেহট্টে। এই পুজোর সুনাম এখন এই জেলা পেরিয়ে অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই পুজোর মধ্যে তেহট্ট মহকুমায় খ্যাতির শীর্ষে রয়েছে তেহট্টের জিতপুর মোড়ের সেমনেস বয়েজ।
তেহট্ট পঞ্চায়েত এলাকায় জাঁকজমক ও আড়ম্বরের সঙ্গে এই পুজো শুরু করেন সেমনেস বয়েজের উদ্যোক্তারা। ১৯৯৯ সালে এই পুজো শুরু হয়। কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়ার বুড়িমার আদলে এই পুজোর প্রতিমা তৈরি হয়। এলাকায় এই পুজো ‘তেহট্টের বুড়িমা’ নামেই প্রচলিত। সাড়ে দশ ফুটের সাবেকি ধাঁচে প্রতিমা গড়ার পাশাপাশি সোনা দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয় দেবীকে। এ বার সেমনেস বয়েজের পুজো ২৭ বছরে পড়েছে। এই পুজো উপলক্ষে প্রসাদে দেওয়া হয় পোলাও ভোগ। সেটাও তৈরি করেন কৃষ্ণনগরের কারিগর। এমনকি, পোলাও তৈরিতে যে ঘি লাগে, সেটিও আনানো হয় জেলা সদর শহর থেকেই। নবমীতে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয় দর্শনার্থীদের।
পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, থিমের পুজো না হলেও বিশেষত প্রতিমা তৈরিতে বেশি জোর দেওয়া হয় প্রতি বছর। বড় বাজেটে আলোকসজ্জার বাহার দেখা যায় এই পুজোয়। পাশাপাশি, শোভাযাত্রাতেও থাকে ব্যাপক চমক। ‘তেহট্টের বুড়িমা’ বলে প্রচলিত বলেই এই প্রতিমাকে একটি বার হলেও দর্শনের জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় থাকে প্রত্যেক বছর।
সেমনেস বয়েজের সম্পাদক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, “এখন আমাদের পুজো তেহট্টের ঐতিহ্য। তা ধরে রাখার চেষ্টা সব সময়ে করা হয়। এই এলাকায় জাঁকজমক ভাবে প্রথম পুজো দেওয়ার পরে অনেকেই আমাদের পাশাপাশি এই পুজো শুরু করে। এটা ভেবেও বড় ভাল লাগে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)