E-Paper

মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ, পরে মৃত্যু স্কুলশিক্ষকের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে একটি গাছে মৌমাছির চাক হয়েছিল। সেই চাকে কেউ ঢিল ছোড়ার পর থেকেই পথচলতি মানুষজনকে মৌমাছি কামড়াতে থাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মৌমাছির কামড়ের পর ঘোরতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক স্কুলশিক্ষকের। নাম রাকেশ কুণ্ডু (৩৯)। বাড়ি কোতোয়ালি থানার সুবর্ণবিহার এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে তাঁকে মৌমাছি কামড়ায়। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

রাকেশ নবদ্বীপের ভাগীরথী বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের দাবি, দুপুর ৩টে নাগাদ তিনি স্কুটারে চেপে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এসে মৌমাছি কামড়ানোর কথা জানান। তখনই তিনি রীতিমত অসুস্থ। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশে একটি গাছে মৌমাছির চাক হয়েছিল। সেই চাকে কেউ ঢিল ছোড়ার পর থেকেই পথচলতি মানুষজনকে মৌমাছি কামড়াতে থাকে। রাকেশ তাদের আক্রমণের মুখে পড়েন। রাকেশের ভাই রাজেশ কুণ্ডু বলেন, “মৌমাছি কামড়ালে দাদার অ্যালার্জি হয়ে শ্বাসকষ্ট হত। আগেও দাদাকে মৌমাছি কামড়েছিল। দু’একটা কামড়ানোয় তেমন কিছু হয়নি। ইঞ্জেকশন দিয়েই ঠিক হয়ে গিয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “মৌমাছি কামড়ালে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেই দাদা বাড়িতে চলে এসেছিল। বিপদটা বুঝতে পারছিল। আমি স্কুটিতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বমিও করে ফেলে। একটা সময় আমার পিঠের উপরেই নেতিয়ে পড়ে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Krishnanagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy