Advertisement
E-Paper

অবাধে বিক্রি হচ্ছে ছোট ইলিশ

বলাগড় ঘাট এলাকার মৎস্যজীবী সমীর হালদার বলেন, ‘‘গঙ্গায় আগের মতো বড় মাছ আর পাওয়া যায় না। তাই আমরা ছোট মাছ ধরার জাল পাতি। তাতেই ছোট ইলিশ আটকে যায়।

প্রণব দেবনাথ

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪২
জালে পড়ছে এমন ইলিশ। নিজস্ব চিত্র

জালে পড়ছে এমন ইলিশ। নিজস্ব চিত্র

নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ভাগীরথী থেকে দেদার ধরা হচ্ছে ছোট ইলিশ। শান্তিপুর, বলাগড়ঘাটের মতো বেশ কিছু জায়গায় সরু জাল ফেলে এই ইলিশ ধরা চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ নেই। মৎস্যজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাগীরথীতে মাছ ধরার জন্য কিছু জেলে সরু জাল ব্যবহার করেন। তাতে অন্য ছোট মাছের সঙ্গে ছোট ইলিশও আটকে যায়। ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশ ধরা নিষেধ। কিন্তু এই জালগুলো এতটাই সরু যে ছোট ইলিশ আটক পড়ে। নজরদারি না থাকায় বাজারে এই ছোট ইলিশ বিক্রি হয় অহরহ।

বলাগড় ঘাট এলাকার মৎস্যজীবী সমীর হালদার বলেন, ‘‘গঙ্গায় আগের মতো বড় মাছ আর পাওয়া যায় না। তাই আমরা ছোট মাছ ধরার জাল পাতি। তাতেই ছোট ইলিশ আটকে যায়। জানি, এই মাছ ধরা নিষেধ কিন্তু জল থেকে তুললেই ইলিশ মরে যায়। তা ফের জলে ফেলে দিয়েও তো কোনও লাভ নেই। তাই বিক্রি করে দিই।’’ তাঁর দাবি, আগে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যেত, এখন কমে গিয়েছে। সারা দিনে জালে ছ’সাতটা আটকায়। আগের মতো বড় ইলিশও আর পাওয়া যায় না।

দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভৌমিকের দাবি, তাঁরা সংগঠনের তরফে বিভিন্ন জায়গায় জেলেদের নিয়ে শিবির করেন। তাতে সরু বা মশারি জাল ব্যবহার না করা, ছোট ইলিশ না ধরার মতো নানা বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হয়। তাঁর মতে, ‘‘ছোট ইলিশ ধরা এখন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। কিন্তু নদীতে কী জাল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও নজরদারি নেই। প্রশাসন থেকে যদি নজরদারি চালায়, তা হলেই ছোট ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে।’’

জেলা মৎস্য আধিকারিক রামকৃষ্ণ সর্দার বলছেন, ‘‘আইনানুগ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় আমরা শুধু মাছ আটক করি। মৎস্যজীবীদের মধ্যে লিফলেট বিলি করে সচেতন করার চেষ্টা করি। এর বেশি খুব একটা কিছু আমাদের করার নেই।’’

Shantipur Hilsa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy