—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর দিনগুলিতে শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে মোতায়ন করা হচ্ছে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ। তার মধ্যে বাইরে থেকেই আসছে প্রায় বারোশো পুলিশ কর্মী। যাঁরা সোমবার পুজোর আগের দিন থেকে শহরের রাস্তা, পুজো মণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় সক্রিয় থাকবেন। সেই সঙ্গে বিসর্জনের শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যও মোতায়ন থাকবে পুলিশ। রাজবাড়ি থেকে বিসর্জন ঘাটের রাস্তায় এই দেড় হাজার পুলিশ কর্মীই মোতায়ন থাকবেন বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে থাকবে প্রায় তিনশোর মতো সিভিক ভলান্টিয়ারও। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য রাস্তায় থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ বেশ কয়েক জন ডিএসপি পর্যায়ের অফিসারও।
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জনপ্রিয় উৎসবেরএকটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই পুজো দেখতে শহরে ভিড় জমান। কিন্তু উৎসবের আবহেও নিরাপত্তার দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। আশঙ্কা থাকে, প্রথম দিনের ভাসানের শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বারোয়ারির মধ্যে অশান্তির কিংবা তার জেরে ঘটে যাওয়া রক্তপাতের। কোনও বছর প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। শহরে গত বছর কালীপুজো ও সরস্বতী পুজোর ভাসানেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে, এ বার কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। কালীপুজো থেকেই ভাসানের শোভাযাত্রার রাস্তাঘাট কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেমিফাইনাল কালীপুজোর শোভাযাত্রা পুরোপুরি ঘটনাবিহীন হওয়ায় ফাইনাল জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান নিয়ে চিন্তা রয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষ্ণনাগরিকদের কেউ কেউ। কারণ, এবারে কালীপুজোয় অশান্তি না হওয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোয় তেমনটা ঘটার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই পুলিশ কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। আর সেই কারণে পুজোর আগের দিন থেকেই দেড় হাজার পুলিশ দিয়ে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তা।
সে সঙ্গে পকেটমার ও যৌন নিগ্রহ রুখতে এ বার বড় বারোয়ারির মণ্ডপের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও রাস্তায় থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী। থাকবেন বেশ কিছু মহিলা পুলিশ কর্মীও। সেই সঙ্গে শহররের রাস্তায় টহল দেওয়ার জন্য থাকবে আটটি বাইকের বাহিনী। প্রতিটিতে থাকবেন দু’জন করে কনস্টবল। ওই বাহিনী ভাসানের দিনেও সক্রিয় থাকবে। বিসর্জনের দ্বিতীয় দিন থেকে শহরে ‘নো-এন্ট্রি’ করে দেওয়া হবে।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, “দেড় হাজার পুলিশ মোতায়ন করা হবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ট্রাফিকের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy